তুফানের শাস্তির দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত বগুড়ায়

ছাত্রীকে ধর্ষণ এবং মাসহ মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার ঘটনায় তুফান সরকারসহ আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বগুড়ায় মানববন্ধন করেছে এলাকার মানুষ।

বগুড়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 August 2017, 03:48 PM
Updated : 3 August 2017, 03:48 PM

বৃহস্পতিবার শহরের কেন্দ্রস্থল সাত মাথায় মানবাধিকার কমিশন ও বগুড়া ইয়াকুবিয়া স্কুলের সামনে স্কুল শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে।

মানবাধিকার কমিশন বগুড়া জেলা শাখা আয়োজিত এ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি নূরুননবী বুলু, মাহফুজ আরা মিভা, ফেরদৌসী বেগম, আব্দুস সাত্তার, মনোয়ারা বেগম, নাজমা আক্তার প্রমুখ।

শহরের সূত্রাপুর এলাকায় ইয়াকুবিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে স্কুলের ছাত্রীরা মানববন্ধন করে।

মানববন্ধনে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবু জাফর, সহকারী প্রধান শিক্ষক শাহাদৎ হোসেন, সুলতানা শাহীন আখতার, আহম্মেদ আল মোছাদ্দেক, বদরুন্নাহার বেগম ও ছাত্রী তহুরা খাতুন, মেফতাহুল জান্নাত প্রীতি, তাসনিম জাহান স্পন্দনা, মিশু খাতুন বক্তব্য রাখেন।

বক্তাররা ধর্ষণ ও পরে মা মেয়েকে নির্যাতনকে কলঙ্ক বলে আখায়িত করে এর বিরুদ্ধে সবাইকে সচেতন হয়ে নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। সেইসঙ্গে সবাইকে নির্যাতিতদের পাশের দাঁড়ানোরও আহ্বান জানান।

এদিকে দ্বিতীয় দফা একদিনের রিমান্ড শেষে তুফানের স্ত্রী আশা ও শাশুড়ি রুমিকে আদালতে হাজির করে বৃহস্পতিবার ফের পাঁচ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শখ আবুল কালাম আজাদ জানান, দুপুরে আদালতে হাজির করে পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে অতিরিক্ত সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্যাম সুন্দর রায় তা না মঞ্জুর করে তাদের সাতদিন কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।

বগুড়ার এক কিশোরীকে ভালো কলেজে ভর্তির প্রলোভন দেখিয়ে ১৭ জুলাই ও পরে কয়েকবার ধর্ষণ করেন শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক তুফান। এ কাজে তাকে সহায়তা করেন তার কয়েকজন সহযোগী।

বিষয়টি জানতে পেরে তুফানের স্ত্রী আশা ও তার বড় বোন বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকিসহ ‘একদল সন্ত্রাসী’ শুক্রবার দুপুরে ওই কিশোরী এবং তার মাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাদের মারধর করে নাপিত দিয়ে দুজনের মাথা ন্যাড়া করে দেন।

এ ঘটনায় শুক্রবার বিকালে তুফানসহ ১০ জনকে আসামি মামলা করেন ওই কিশোরীর মা। মামলার পর জাতীয় শ্রমিক লীগ বগুড়া শহর শাখার আহ্বায়ক তুফানকে রোববার সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।

ওই মামলায় আসামি শিমুল ছাড়া সবাইকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।