ধর্ষণ মামলায় তুফান আরও ২ দিনের রিমান্ডে

বগুড়ায় ‘ধর্ষণের শিকার’এক কিশোরী ও তার মায়ের মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার মামলার প্রধান আসামি তুফান সরকার ও মুন্নাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও দুই দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।

বগুড়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 August 2017, 01:40 PM
Updated : 2 August 2017, 01:46 PM

বুধবার বগুড়ার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম শ্যাম স্ন্দুর রায় তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

একইসঙ্গে তুফানের স্ত্রী আশা ও শাশুড়ি রুমি খাতুনের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে বলে জানান বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী।

তিনি বলেন, প্রধান আসামি তুফান সরকার, তার স্ত্রী আশা, শাশুড়ি রুমি খাতুন ও মুন্নাকে হাজির করে সাতদিন করে রিমান্ড চাওয়া হয়। শুনানি শেষে বিচারক তুফান ও মুন্নার দুইদিন এবং আশা ও তার মায়ের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এরআগে রোববার তুফানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনদিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত। আর সোমবার তুফানের স্ত্রী আশা, শাশুড়ি রুমি ও মুন্নাকে দুইদিন করে রিমান্ডে পাঠানো হয়।

এছাড়া বুধবার ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন নাপিত জীবন কুমার রবিদাস ও মামলার আসামি দিপু।

বগুড়ার এক কিশোরীকে ভালো কলেজে ভর্তির প্রলোভন দেখিয়ে ১৭ জুলাই ও পরে কয়েকবার ধর্ষণ করেন শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক তুফান। এ কাজে তাকে সহায়তা করেন তার কয়েকজন সহযোগী।

বিষয়টি জানতে পেরে তুফানের স্ত্রী আশা ও তার বড় বোন বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকিসহ ‘একদল সন্ত্রাসী’ শুক্রবার দুপুরে ওই কিশোরী এবং তার মাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাদের মারধর করে নাপিত দিয়ে দুজনের মাথা ন্যাড়া করে দেন।

এ ঘটনায় শুক্রবার বিকালে তুফানসহ ১০ জনকে আসামি মামলা করেন ওই কিশোরীর মা। মামলার পর জাতীয় শ্রমিক লীগ বগুড়া শহর শাখার আহ্বায়ক তুফানকে রোববার সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।

ওই মামলায় আসামি শিমুল ছাড়া সবাইকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।