মঙ্গলবার বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী এ কথা জানান, বেলা ৩টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ-১ (শিশু আদালত) আদালতের বিচারক মো. এমদাদুল হক কিশোরীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
দুপুরে কিশোরীটিকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল থেকে আদালত আনা হয়। পরে তাকে আবারও মেডিকেল ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানান সনাতন চক্রবর্তী ।
বিষয়টি জানতে পেরে তুফানের স্ত্রী আশা ও তার বড় বোন বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকিসহ ‘একদল সন্ত্রাসী’ শুক্রবার দুপুরে ওই কিশোরী এবং তার মাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাদের মারধর করে নাপিত দিয়ে মা ও মেয়ের মাথা ন্যাড়া করে দেন।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার শ্রমিক লীগ নেতা তুফান, তার স্ত্রী আশা, কাউন্সিলর রুমকি, শ্বশুর-শাশুড়ি, গাড়িচালক, নরসুন্দর ও মুন্না নামের এক যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আমান উল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জবানবন্দি গ্রহণের পাশাপাশি ওই কিশোরীর পরিবারে নিরাপত্তা নিশ্চিতে ও তার সুচিকিৎসার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।