মঙ্গলবার এ উপলক্ষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, আনন্দ শোভাযাত্রা, মোমবাতি ও মশাল প্রজ্বলন করা হয়।
ব্রিটিশ শাসনের অবসানে ভারত ভাগের সময় ১৯৪৭ সাল থেকে সিরিল রেডক্লিফ কমিশনের তাড়াহুড়োয় বাংলাদেশে ১১১ ভারতীয় ছিটমহল এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলায় বাংলাদেশের ৫১ ছিটমহলের বাসিন্দারা জটিল এক রাষ্ট্রব্যবস্থার ভেতর বসবাস করে আসছিলেন।
আনুষ্ঠানিকভাবে ওই বছরের ৩১ জুলাই ছিটমহল ও এর বাসিন্দাদের দুদেশের মধ্যে বিনিময়ের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের বঞ্চনার অবসান ঘটে।
নাগরিক অধিকার সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মফিজার রহমান বলেন, “২০১৫ সালের ৩১ জুলাই মধ্যরাতে ছিটমহল বিনিময় চুক্তি কার্যকর হয়। এর মাধ্যমে আমরা দীর্ঘ ৬৮ বছরের অন্ধকার-অনিশ্চিত জীবন থেকে মুক্তি পাই। এ জন্য ওই রাতের পরের দিনটিকে ‘ছিটমহল স্বাধীনতা দিবস’ হিসেবে পালন করছি।”
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি এবং ‘ছিটমহল স্বাধীনতা দিবস’ লেখা ব্যানার নিয়ে শোভাযাত্রা বের হয়। এতে অংশগ্রহণকারীরা ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ ও সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে নানা স্লোগান দেন।
পরে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় নাগরিক অধিকার সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মফিজার রহমান, সাবেক ছিটমহল নাগরিক কমিটির চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ও তছলিম উদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এছাড়াও সোমবার রাত ১২টা ১মিনিটে সদর উপজেলার সাবেক গাড়াতি ছিটমহলের মফিজার রহমান কলেজ মাঠে মোমবাতি ও মশাল প্রজ্বলন করা হয়।
ছিটমহল বিনিময়ের দুই বছর পূর্তিতে কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও নীলফামারীতে পতাকা উত্তোলন, আনন্দ শোভাযাত্রা, মোমবাতি প্রজ্বলন ও আলোচনা সভা হয়েছে।