সোমবার জেলার অতিরিক্ত জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শ্যাম সুন্দর রায় এ আদেশ দেন।
বগুড়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী বলেন, কাউন্সিলর মারজিয়া হাসান রুমকিকে চারদিনের এবং তুফানের স্ত্রী আশা, শ্বশুর জামিলূর রহমান রুনু, শাশুড়ি রুমি খাতুন, গাড়িচালক জিতু, নরসুন্দর জীবন রবিদাস ও যুবক মুন্নাকে দুই দিন করে রিমান্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
“তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে সাতদিনে করে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল।”
এদের মধ্যে রোববার রাতে রুমকি, রুনু, রুমি, জিতু, যুবক মুন্না ও নরসুন্দর জীবন রবিদাস সোমবার গ্রেপ্তার করে বলে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে জানান পুলিশ সুপার মোঃ আসাদুজ্জামান।
বিষয়টি জানতে পেরে তুফানের স্ত্রী আশা ও তার বড় বোন বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকিসহ ‘একদল সন্ত্রাসী’ শুক্রবার দুপুরে ওই কিশোরী এবং তার মাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাদের মারধর করে নাপিত দিয়ে মা ও মেয়ের মাথা ন্যাড়া করে দেন।
ধর্ষণের ঘটনায় শুক্রবার বিকালে ওই কিশোরীর মায়ের করা মামলায় জাতীয় শ্রমিক লীগ বগুড়া শহর শাখার আহ্বায়ক তুফান সরকারসহ গ্রেপ্তার চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনদিন করে রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনার পর রোববার তুফানকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।
শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকারের অবৈধ অর্থ উপার্জনের অভিযোগ খতিয়ে দেখা শুরু হয়েছে বলে দুদক বগুড়ার সহকারী পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন।
এছাড়া বিকালে জিয়াউর রহমান মেডিকেল ওই কিশোরীকে দেখতে যান স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নান। এ সময় চিকিৎসার ৫০ হাজার টাকা দেন।