সোমবার পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এসএম জিল্লুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন মো. শাহিনূর রহমান শানু মোল্লা, রেজাউল খাঁ ও মিজান বেপারি।
একইসঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন- রেজাউলের মা রোকসানা বেগম, নিজাম আকন, সুমন শেখ, ওমর ফারুক মিঠু, মামুন মাতুব্বর, লিমন তালুকদার ও মো. রাসেল।
তাদের ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন বিচারক।
আসামিদের সবার বাড়ি পিরোজপুর সদর উপজেলার কালিকাঠী এলাকায়। এদের মধ্যে শানু মোল্লা ও রেজাউল পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০১২ সালে কালিকাঠী গ্রামের ফিরোজ মাঝির (২২) বোন রিমু আক্তারের সঙ্গে ওই উপজেলার ধূপপাশা এলাকায় জাহিদের বিয়ে হয়।
বিয়ের কিছুদিন পর রিমুকে স্বামীর কাছ থেকে ফিরিয়ে এনে রেজাউলের সঙ্গে বিয়ে দিতে ফিরোজ ও তার মা নাসিমা বেগমকে বলেন রোকসানা। কিন্তু তারা বিষয়টি মেনে না নেওয়ায় আসামিদের সঙ্গে বিরোধ তৈরি হয়।
এর জেরে ২০১২ সালের ৪ এপ্রিল রাতে শিকদারমল্লিক এলাকার ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফেরার পথে আসামিরা ফিরোজকে কুপিয়ে হত্যা করে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আলাউদ্দিন।
পরদিন ফিরোজের মা নাসিমা বেগম বাদী ১০ জনকে আসামি করে পিরোজপুর সদর থানায় মামলা করেন। ওই বছরের ১৪ জুলাই এসআই বাদল কৃষ্ণ দাস আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিলে মামলার বিচারকাজ শুরু হয়।
এ মামলায় মোট ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে বলে রাষ্ট্রপক্ষেরেএ আইনজীবী।