রোববার যশোর আইনজীবী সমিতি ভবনের ভিত্তিস্থাপন ও মতবিনিময় সভায় একথা বলেন তিনি।
আনিসুল হক বলেন, “একজনের অনেক বক্তব্যে মনে হচ্ছে, বিচার বিভাগের সাথে নির্বাহী বিভাগের একটা বিরাট যুদ্ধ চলছে। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে বিচার বিভাগের সাথে নির্বাহী বিভাগের কোনো যুদ্ধ চলছে না।”
বিচার বিভাগে নির্বাহী বিভাগের ‘হস্তক্ষেপ’ নিয়ে কয়েক মাস ধরেই সরব প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা। রোববারও অধস্তন আদালতের বিচারকদের চাকরিবিধির গেজেট নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি।
বিধিমালার যে খসড়া চূড়ান্ত করে সরকার জমা দিয়েছে, তা গ্রহণ করেনি সুপ্রিম কোর্ট।
আইনমন্ত্রী বলেন, “বিচার বিভাগের একজন ‘ডাজ নট মিন দ্য বিচার বিভাগ’। বিচার বিভাগ অনেককে নিয়ে।”
সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ ‘সমুন্নত রেখে’ তারা বিচারকদের শৃঙ্খলা বিধিমালা তৈরির চেষ্টা করছেন বলে জানান তিনি।
এ খসড়ার কয়েকটি শব্দ ও বিধি নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা বলেছেন, আদালত যেসব সুপারিশ করেছিল, খসড়ায় এসেছে তার উল্টোটা।
“আইনমন্ত্রী আমার সঙ্গে সাক্ষাতের পর পুরোপুরি ইউটার্ন করেছেন।”
আনিসুল হক বলেন, “আমার একটি অসুবিধা হচ্ছে যে, মাননীয় প্রধান বিচারপতির সঙ্গে যখন আমি কোন আলোচনা সভা, দাওয়াত বা প্রোগ্রামে যাই আমি তখন শেষ বক্তার আগের বক্তা। শেষ বক্তা প্রধান বিচারপতি। তাই প্রধান বিচারপতি যখন কিছু বলেন এরপর আমি তো আর সেটার জবাব দিতে পারি না।”
“বিচার বিভাগ এবং নির্বাহী বিভাগ ও আইনসভার মধ্যে এই যে বিতর্ক এটা কিন্তু গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে। কোনো দূরত্ব সৃষ্টি হয় নাই,” বলেন তিনি।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি শরীফ আব্দুর রাকিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যশোর-২ আসনের সংসদ সদস্য মনিরুল ইসলাম মনির, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু সালেহ শেখ মোহাম্মদ জাফর, জেলা দায়রা জজ আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।