শনিবার বিকাল ৩টায় ছাত্রবাসটি খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ নিতাই চন্দ্র চন্দ।
তিনি বলেন, “পরিচয়পত্র দেখে প্রকৃত শিক্ষার্থীদের ছাত্রাবাসে ওঠানো হবে। প্রত্যেক বৈধ শিক্ষার্থীকে আবাসিক কার্ড দেওয়ার পাশাপাশি বহিরাগত, অবৈধ গেস্টদের থাকার ব্যাপারে নতুন করে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।”
আবাসিক কার্ডবিহীন কোনো শিক্ষার্থীকে ছাত্রাবাস থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ধরে নিয়ে গেলে এর দায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে নিতে হবে বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ।
ছাত্রবাস খুলে দেওয়া হলেও ভাঙাচোরা রুমেই উঠতে যাচ্ছেন আবাসিক শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন,কক্ষগুলো ভাঙচুর হওয়ার পর আর মেরামত করা হয়নি। কলেজের দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে তাদেরকে পত্রিকা, শক্ত কাগজ কিংবা বোর্ড দিয়ে আপাতত চালিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ইনকোর্স, ব্যবহারিক ক্লাস, ফাইনাল পরীক্ষা থাকায় কষ্ট করে হলেও তারা ছাত্রাবাস উঠছেন বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
গত ১৩ জুলাই ছাত্রলীগের দুই পক্ষের বিরোধের জেরে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের তিনটি ব্লকের অন্তত ৫০টি কক্ষ ভাংচুর ভাংচুর করা হয়।
অধিপত্য নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা টিটু চৌধুরী ও হোসাইন আহমদের অনুসারীদের মধ্যে উত্তেজনার জেরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
ভাংচুরের পর অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় কলেজ ছাত্রাবাস। গঠন করা হয় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি।
এ ঘটনায় ১৬ জুলাই ২৫ জনকে আসামি করে শাহপরাণ থানায় মামলা করেন কলেজ অধ্যক্ষ নিতাই চন্দ্র চন্দ। এদের মধ্যে ছয়জনকে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।