মঠবাড়িয়া থানার ওসি কেএম তারিকুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার রাতে শাহাদৎ হোসেন নামে এক ব্যক্তি মামলাটি দায়ের করেন।
আসামি বশির হোসেন উপজেলার বেতমোর ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে ওসি তারিকুল বলেন, কয়েকদিন আগে যুবলীগ নেতা বশির হোসেন ফেইসবুকে স্থানীয় সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য করেন। যাতে এমপির প্রতি সাধারণ মানুষের বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
এর আগে গত ৬ জুলাই এমপির পক্ষ হয়ে ফারুক হোসেন নামের এক ব্যক্তি উপজেলার আরেক যুবলীগ নেতা নুরুল আমীন রাসেল ও দৈনিক সকালের খবরের জ্যেষ্ট প্রতিবেদক আজমল হক হেলালের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছিলেন।
তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারাটি কালাকানুন বলে তা বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছে গণমাধ্যমকর্মীসহ বিভিন্ন মহল। বাংলাদেশের এই আইনের সমালোচনা চলছে বিদেশেও।
৫৭ ধারায় বলা হয়েছে- ওয়েবসাইটে প্রকাশিত কোনো ব্যক্তির তথ্য যদি নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হতে উদ্বুদ্ধ করে, এতে যদি কারও মানহানি ঘটে, রাষ্ট্র বা ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়, তা হবে অপরাধ। এর শাস্তি অনধিক ১৪ বছর কারাদণ্ড এবং অনধিক এক কোটি টাকা জরিমানা।
৫৭ ধারা কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়, হাই কোর্টের এমন রুলও আসে। সমালোচনার মুখে আইনের ধারাটি বাতিলের আশ্বাস দিয়ে আসছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ সরকারের কর্তাব্যক্তিরা।