শুক্রবার নোয়াখালীতে তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, “আপনারা যদি মনে করেন যে আমাদেরকে দাবিয়ে রেখে আবারও একদলীয় নির্বাচন করবেন, সে নির্বাচন বাংলাদেশে কোনোদিন আর হতে দেওয়া হবে না।
“এই নির্বাচনে আমরা থাকব। মাঠে ময়দানে থাকব। সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের ভোটের মাধ্যমে ইনশাল্লাহ বিএনপি এবং ২০ দলীয় জোট আবার ক্ষমতায় আসবে।”
নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন একটি অথর্ব কমিশন। এরা ইতিমধ্যে প্রমাণ করে দিয়েছে সরকারি দল আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আনার জন্য এ কমিশন কাজ করছে।
এ নির্বাচন কমিশন দিয়ে দেশে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আশা করা যায় না। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা।
দুটি কারণে সরকার কোনো বিরোধী দলকে ঘরোয়া বৈঠক, সভা-সমাবেশ করতে দেয় না মন্তব্য করে তিনি এর দুইটি কারণ উল্লেখ করেছেন।
“একটি হলো- বর্তমান সরকারের এখন মাঠ পর্যায়ে জনপ্রিয়তা নেই। দ্বিতীয়টি হলো- বিএনপির প্রতি দেশের জনগণের যে সমর্থন আছে তা আওয়ামী লীগ সহ্য করতে পারছে না।”
বিএনপিকে ঘরোয়া বৈঠকও করতে না দেওয়ার জবাব আগামী নির্বাচনে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেন তিনি।
বক্তব্যের শুরুতে তিনি বসুরহাট পৌর হলে বিএনপির কর্মসূচিতে পুলিশের বাধার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান।
দুপুরে কোম্পানীগঞ্জে বিএনপির তৃণমূল প্রতিনিধি সম্মেলন, নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচি উদ্বোধন করেন মওদুদ।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী আবদুল হাই সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন দলের উপজেলা সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম শিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গির আলম, বসুরহাট পৌর সভাপতি কামাল উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান রিপন প্রমুখ।