শরীয়তপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৗশলী পার্থ দাসগুপ্ত বলেন, মহাসড়কের আঙ্গারিয়া বন্দরের পশ্চিম মাথার রাস্তায় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ট্রাকটি আটকে পড়ে।
“পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি নিয়ে ট্রাকটি পঞ্চগড় থেকে শরীয়তপুরের দিকে যাচ্ছিল।পথে রাস্তার খানাখন্দে দেবে যায়।”
এতে মহাসড়কের দুই পাশের রাস্তায় শত শত গাড়ি আটকা পড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ট্রাকটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শরীয়তপুর-চাঁদপুর মহাসড়কটি গত এক বছর বেহাল পড়ে আছে। মাঝে মাঝে মেরামতের নামে সরকারি টাকা নষ্ট করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও সড়ক বিভাগের কিছু কর্মকর্তা কর্মচারী সুবিধা ভোগ করেন।
আঙ্গারিয়া বাজারের সভাপতি আজিজুল হক মোল্লা বলেন, “ঠিক করে মেরামত না করার কারণে কিছুদিন যেতে না যেতেই সড়কটি আবার আগের চেহারায় ফিরে আসে।”
দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের শত শত যানবাহন যাতায়াতের এ রাস্তাটির সংষ্কার না হওয়ায় প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনা ঘটছে বলে জানান তিনি।
এদিকে যানজটের কারণে চট্টগ্রাম ও খুলনা থেকে ছেড়ে আসা দূরপাল্লার যানের যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।
আটকে পড়া ট্রাকের চালক নাসির উদ্দিন বলেন, “রাস্তাটি যে এত ভাঙ্গা, রাস্তায় পানি থাকার কারণে তা বুঝতে পারিনি। হঠাৎ করে গাড়িটি গর্তে পড়ে আটকে যাই। এখন খুবই কষ্টে আছি।”
খুলনা থেকে ছেড়ে আসা মাল বোঝাই ট্রাকের চালক আলীম উদ্দিন বলেন, “রাস্তাটি দীর্ঘদিন যাবত খানাখন্দে ভরা। এ রাস্তা দিয়ে গাড়ি নিয়ে চলাচল করা খুবই কষ্ট। বৃহস্পতিবার রাত থেকে এখানে বসে আছি। কখন যেতে পারবো জানি না।”
চট্রগ্রাম থেকে খুলনাগামী বাস যাত্রী সিদ্দিকুর রহমান ঢালি বলেন, “ট্রাক আটকে পড়ায় এখানে যানজটে আটকে আছি। কখন যেতে পারব বলতে পারছি না।”