বৃহস্পতিবার বিকালে রোয়াংছড়ি উপজেলার তারাছা ইউনিয়নের বেতছড়া খালের মোহনায় মাটিচাপা অবস্থায় গৌতম কুমার নন্দির মরদেহ পাওয়া যায়।
গৌতম কৃষি ব্যাংকের রুমা উপজেলা শাখার সেকেন্ড অফিসার ছিলেন।
এ নিয়ে এ ঘটনায় তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন দুইজন।
তারাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উথোয়াইচিং মারমা বলেন, বেতছড়া খালের মোহনায় মাটিচাপা লাশটি দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে রোয়াংছড়ি থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে বান্দরবান জেলা সদরে নিয়ে আসে।
রোয়াংছড়ি থানার ওসি ওমর আলী বলেন, মরদেহটি উদ্ধার করে আনার পর রুমা সড়কে পাহাড় ধসে নিখোঁজ কৃষি ব্যাংকের সেকেন্ড অফিসার গৌতম কুমার নন্দির মরদেহ শনাক্ত করেন তার ছেলে অর্জিত নন্দি তুর্য।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, গৌতম নন্দির মরদেহ বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তার ছেলে অর্জিত নন্দি তুর্যের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
অর্জিত নন্দি বলেন, মরদেহ তাদের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় এওচিয়ায় সৎকার করা হবে।
গত ২৩ জুলাই রুমা সড়কে দলিয়ান পাড়া এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনায় নিখোঁজ হয়েছিলেন গৌতম কুমার নন্দি, রুমা উপজেলা পোস্ট মাস্টার রবিউল আলম, রুমার মংশৈপ্রু মারমার দুই মেয়ে মেহ্লাসিং মারমা, মেসিং মারমা ও রুমা উপজেলার স্বাস্থ্যকর্মী মুন্নি বড়ুয়া।
ঘটনার পরপরই মেহ্লাসিং মারমার লাশ পাওয়া যায়। এরপর পাওয়া যায় মুন্নি বড়ুয়ার লাশ।
এখনও নিখোঁজ রয়েছেন মেসিং মারমা ও রবিউল আলম।
বান্দরবান ফায়ার স্টেশনের সহকারী পরিচালক ইকবাল হোসেন বলেন, বান্দরবান সেনা রিজিয়নের তত্ত্বাবধানে উদ্ধার অভিযান পরিচালিত হয়েছে। বাকিদের ব্যাপারে কোনো তথ্য জানা যায়নি।