পুলিশ হেফাজতে ছাত্রের মৃত্যু: মামলার সাক্ষীদের হয়রানির অভিযোগ

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে পুলিশ হেফাজতে এক কলেজছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় প্রতিবাদকারী ও মামলার সাক্ষীদের ‘হয়রানি করতে’ গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

গাইবান্ধা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 July 2017, 03:18 PM
Updated : 26 July 2017, 03:18 PM

বুধবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন কলেজছাত্র রিপনের ছোট ভাই পন্ডিত চন্দ্র দাস।

অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তার রিপন চন্দ্র দাস গত ১ জুন পুলিশ হেফাজতে মারা যান। ১১ জুন রিপনের বাবা বাবলু চন্দ্র দাস গাইবান্ধার একটি আদালতে ১০ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।

মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পন্ডিত চন্দ্র বলেন,“ আমার ছোট ভাই রিপনের সাথে প্রতিবেশী চম্পা প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ২৯ মে তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে বগুড়ায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে ওঠে। এ নিয়ে চম্পার বাবা অপহরণ মামলা করে।

“সুন্দরগঞ্জ থানার এসআই রাজু আহমেদ, কনস্টেবল শাহানুরসহ কয়েকজন পুলিশ গত ১ জুন বগুড়া থেকে রিপনকে আটক করে। মাইক্রোবাসে সুন্দরগঞ্জ নিয়ে আসার সময় পুলিশ রিপনকে হত্যা করে।”

রিপনের মৃত্যুর পরপর এলাকাবাসী চম্পার বাবার বাড়ি ভাংচুর করে। এ নিয়ে চম্পার বাবা সুরেশ চন্দ্র অজ্ঞাত দেড়শত জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেছিল।

পন্ডিত চন্দ্র অভিযোগ করেন, হত্যা মামলা দায়েরের পর থেকেই পুলিশ মামলাটি মীমাংসার প্রস্তাব দিচ্ছে। মামলা সাক্ষী ও ঘটনার প্রতিবাদকারীদের অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করে হয়রানি করছে।

এ অভিযোগ অস্বীকার করে সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আতিয়ার রহমান বলেন, “সুরেশ চন্দ্রের দায়ের করা ভাংচুর মামলায় পুলিশ আটজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে তুলেছে।

কোনো মামলা সাক্ষী ও ঘটনার প্রতিবাদকারীদের গ্রেপ্তারও করা হয়নি। কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না।”