বাগেরহাটে ভেসে গেছে ৫ শতাধিক ঘের

বাগেরহাটে অতিরিক্ত বৃষ্টির পানিতে শত শত পরিবার পানিবন্দি হওয়ার পাশাপাশি তলিয়ে গেছে অসংখ্য বরজ ও বীজতলা, ভেসে গেছে পাঁচ শতাধিক মাছের ঘের।

বাগেরহাট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 July 2017, 03:55 AM
Updated : 26 July 2017, 05:54 AM

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দায়িত্বশীল লোকজনের সঙ্গে কথা বলে পাওয়া গেছে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির চিত্র।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মো. আফতাব উদ্দিন বলেন, গত এক সপ্তায় জেলায় প্রায় ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

“ডুবে রয়েছে প্রায় দেড় হাজার হেক্টর পানের বরজসহ আমন ধানের বীজতলা।”

বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে আমনের বীজতলা ও পান নষ্ট হওয়ার আশংকা রয়েছে বলে তিনি জানান।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জিয়া হায়দার ঘেরমালিকদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও দুশ্চিন্তার খবর দিয়েছেন।

তিনি বলেন, “টানা বর্ষণে সদর উপজেলা ও চিতলমারীতে অন্তত ৫০০ মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। জেলার অধিকাংশ মাছের ঘের ভাসিভাসি করছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে ঘের তলিয়ে চাষীরা বিপুল ক্ষতির মধ্যে পড়বেন।”

চাষীরা ঘেরের বাঁধ মেরামত ও বাঁধের ওপর নেট দিয়ে মাছ আটকানোর চেষ্টা করছেন বলে তিনি জানান।

সদর উপজেলার কাড়াপাড়া, শিংড়াই, দেওয়ালবাটি, যাত্রাপুর, বারুইপাড়া, বিষ্ণুপুর, পাটরপাড়া, ষাটগম্বুজ, বাগমারা এলাকায় শতশত পরিবারকে পানিবন্দি দেখা গেছে। বাঁধ উপচে পানি ঢুকে অসংখ্য বাড়িঘর তলিয়ে গেছে। বহু ঘরের সামনে পানি জমে রয়েছে। চুলায় পানি ওঠায় তাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

পোলঘাট গ্রামের এমডি মুরাদ বলেন, “নদীর পানি রাস্তার ওপর দিয়ে এসে আমাদের গ্রামের বাড়িঘর তলিয়ে গেছে। এছাড়া গত চার দিনের টানা বর্ষণে বসতঘর ও বাগান পানিতে তলিয়ে রয়েছে। নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় পানি নামতে পারছে না।”

মাঝিডাঙ্গা গ্রামের জরিনা বেগমের বাড়ির উঠানে হাঁটুপানি জমে রয়েছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

কাড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য জাহিদুর রহমান জানিয়েছেন, তার এলাকায় শত শত পরিবার পানিবন্দি হয়ে রয়েছে। টানা বর্ষণে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, বাগানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।

এলাকার খালগুলো সংস্কারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, “পানি নামার ব্যবস্থা না থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কয়েক দিনের টানাবর্ষণে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে পান ও মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। এতে আমাদের বিপুল আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।”

একই রকম খবর দিয়েছেন বিভিন্ন এলাকার আরও অনেক জনপ্রতিনিধি।