পায়ুপথে বাতাস: বাড়ি ফিরছে শিশু কাইয়ুম

পায়ুপথে বাতাস ঢোকানোর পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় যাওয়া সিরাজগঞ্জের শিশু কাইয়ুম সুস্থ হয়ে উঠেছে।

জিয়া শাহীন বগুড়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 July 2017, 02:28 PM
Updated : 25 July 2017, 02:28 PM

মঙ্গলবার বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মাসুদ আহসান এ কথা জানান।

গত ১৪ জুলাই সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাটের এসিআই গোদরেজ ফিড মিলের ভেতর কয়েকজন শ্রমিক শিশুকর্মী কাইয়ুমকে পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে দিলে তার নাড়ির একাধিক জায়গায় ছিঁড়ে যায়।

সেদিন তাকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল ও স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে পরদিন বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হাসপাতালের পরিচালক মাসুদ আহসান মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “এ ধরনের রোগী বেঁচে ওঠার ইতিহাস খুবই কম। আমাদের ডাক্তাররা তাদের দক্ষতা ও সেবা দিয়ে কাইয়ুমকে সুস্থ করে তুলেছেন।

“কাইয়ুমের অবস্থা আশংকাজনক দেখে আইসিইউতে নেওয়া হয়। আইসিইউ ছিল বলেই কাইয়ুমকে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে।”

এ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান আব্দুল মোত্তালেব হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অ্যাবডোমেন ওপেন করার পর তার পেটে খাদ্য নালীর একাধিক স্থানে ছিদ্র ও ক্ষত পাওয়া যায়। পরে ছিদ্রগুলো রিপিয়ার করা হয় এবং নিয়মমাফিক অ্যাবডোমেন ক্লোজ করা হয়।

“খাদ্যনালীতে একাধিক ছিদ্রযুক্ত টক্সিক রোগী সহজেই বাঁচে না। তবে কাইয়ুম এখন সুস্থ। দুইদিন পর তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে।”

কাইয়ুমের মায়ের উদ্যমই কাইয়ুমকে অস্ত্রোপচারে সাহস যুগিয়েছে জানিয়ে আইসিইউ বিভাগের প্রধান নিতাই চন্দ্র বলেন, “অপারেশনের আগে কাইয়ুমের মা বলেছিলেন, ছেলে তো মারাই যাবে। আপনাদের যা যা করা দরকার চেষ্টা করে দেখুন।”

কেমন আছে জানতে চাইলে কাইয়ুম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলে, “এখন খুব ভালো আছি। ভালোভাবে খেতে পারছি। কথা বলতে পারছি।”

জাকিরুল নামে এক সহকর্মী তাকে পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছিল বলে শিশু কাইয়ুমের ভাষ্য।  

গোদরেজ কোম্পানির পক্ষ থেকে চিকিৎসা খরচ দেওয়া হয়েছে। তবে তারা মামলা করতে নিষেধ করেছেন বলে জানান কাইয়ুমের মা ববিতা খাতুন।