হাতীবান্ধা আলিমুদ্দিন কলেজের বাণিজ্য বিভাগের এই পরীক্ষার্থী সম্পর্কে অধ্যক্ষ সরওয়ার হায়াত খান বলেন, শাহ আলম শারীরিক প্রতিবন্ধিতা ও সংসারের অভাব মোকাবিলা করেও জিপিএ ৩.৪২ পেয়ে সবার জন্য উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে।
হাতীবান্ধা উপজেলার পূর্ব বিছনদই গ্রামের একরামুল-মরিয়ম দম্পতির ছেলে শাহ আলম। বাবা বর্গা চাষী আর মা গৃহিণী। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে শাহ আলম চতুর্থ।
মরিয়ম বেগম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এক বছর বয়সে হঠাৎ একদিন হামাগুড়ি দেওয়ার সময় উঠানে থাকা ভুসির আগুনে পড়ে যায় শাহ আলম।
“টাকার অভাবে ভালো চিকিৎসা করাতে না পারায় সব আঙ্গুল হারাতে হয়। কিন্তু পাঁচ বছর বয়সে অন্যদের মতো সেও স্কুলে যেতে চায়। বাধ্য হয়েই তাকে স্কুলে ভর্তি করাই। আজ আমার সেই ছেলে এইচএসসি পাস করেছে। এতে হামাক কি যে ভালো লাগছে তা বুঝাতে পারতাম না।”
শাহ আলম আঙুল হারালেও কখনও মনোবল হারাননি বলে গর্ববোধ করেন বাবা একরামুল।
“শাহ আলম এখন লেখাপড়া করে ব্যাংকের চাকরি করবে বলে স্বপ্ন দেখছে। কিন্তু সাত সদস্যের সংসার চালাতে গিয়েই হিমশিম খাচ্ছি। ছেলের স্বপ্ন শেষ পর্যন্ত পূরণ হবে কিনা জানি না।”
শারীরিক প্রতিবন্ধকতার চেয়ে অভাবই বড় বাধা বলে জানিয়েছেন শাহ আলম।
তিনি বলেন, “সব বাধা পেরিয়ে ভবিষ্যতে ব্যাংকার হতে চাই।”
বিত্তবানরা পাশে দাঁড়ালে ভবিষ্যতে শাহ আলম আরও ভালো করবেন বলে মনে করেন অধ্যক্ষ সরওয়ার হায়াত খান।
সবার প্রতি তিনি সহযোগিতার হাত বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।