অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন (২৫) উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের আব্দুল বারেক মিয়ার ছেলে।
সোমবার নয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে ওই যুবকের ভাই সানোয়ার হোসেন জানান।
এ ঘটনার পর রাতে মেয়েটির নানা শ্রীপুর থানায় আনোয়ারের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
‘শ্লীলতাহানির চেষ্টা করায়’ সালিশের মাধ্যমে জমি লিখে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম।
ওই ছাত্রীর মামা বলেন, “রোববার সন্ধ্যায় বাড়ির পাশে এক শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে আনোয়ার তার ভাগ্নির পথরোধ করে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন আনোয়ার পালিয়ে যায়।
এ নিয়ে সানোয়ার বলেন, “শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ তুলে চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ, ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান, স্থানীয় মাতব্বর আব্দুল আওয়ালসহ বেশ কয়েজন মাতব্বর আমার ভাইকে জুতার মালা পরিয়ে লাঠিপেঠা করে গ্রাম ঘুরান।
“পরে জোর করে পাঁচ গণ্ডা জমি লিখে নেন এবং মেয়ের নানাকে দিয়ে আনোয়ারের বিরুদ্ধে মামলা করিয়েছেন তারা।”
ভাইকে বাড়ি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মিজানুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অভিযোগ উঠায় ওই যুবককে চেয়ারম্যান ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সালিশে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তাকে পুলিশে না দিয়ে নিজেরাই বিচার করেছেন কেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এলাকার চেয়ারম্যান যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাই হয়েছে। তার মতের বিরুদ্ধে আমরা যাইনি।”
যুবককে জুতার মালা পরিয়ে গ্রাম ঘুরানোর কথা স্বীকার করলে তিনি বলেন, “শাস্তি হিসেবে জুতার মালা পরানো হয়েছে, তবে তাকে মারধর করা হয়নি।”
শ্রীপুর থানার ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, “রাতে নানা আনোয়ারের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমের তার জমি লিখে নেওয়ার বিষয়টি আমি জানি না। এ কাজ করে থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”