রোববার দুপুরে মদন সদরের জাহাঙ্গীরপুর এলাকার উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান মদন উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক পরিতোষ দাস।
তবে পুলিশ বলছে এমন কোনো ঘটনার খোঁজ পায়নি।
এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে পরিতোষ দাস বলেন, ফুটপাতে শান্ত মুন্সি নামে এক ব্যক্তির পান-সিগারেটের দোকান রয়েছে। দোকানটিতে এসে শিশুটি একটি সিগারেটের প্যাকেটে হাত দিলে দোকানি শান্ত তাকে পাশে থাকা একটি গাছে বেঁধে রাখে।
প্রায় দেড়ঘণ্টা এভাবে বেঁধে রাখার পর এলাকাবাসী এসে শিশুটির বাঁধন খুলে দেয় বলে জানান তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দা মুকুল মিয়া বলেন, “দুপুরের দিকে ছেলেটিকে বেঁধে রাখার খবর পাই। ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকার অন্যদের নিয়ে শিশুটির বাঁধন খুলে দেই।”
নির্যাতনের শিকার শিশুটি বলে, “আমি একটি সিগারাটের প্যাকেট হাতে লইতেই এইলা (দোকানদার) আমারে দইরা গাছের লগে বাইদে রাহে। আমি চুরট চুরি করতে আইছি না।”
বেঁধে রাখার কথা স্বীকার করে দোকানি শান্তু মুন্সি বলেন, “সিগারেটের প্যাকেট চুরি করে নিয়ে যাওয়ার অপরাধে তাকে গাছে বেঁধে রেখেছিলাম।”
তবে মদন থানার পরিদর্শক মাজেদুর রহমান বলেন, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে এমন কোনো ঘটনা খোঁজ পাইনি।”