বাঁধ তদারকের দায়িত্বে থাকা টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহজাহান সিরাজ বলেন, “রোববার ভোরে বাঁধের খাসকাউলিয়া এলাকায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশে ২০ মিটার ধসে গেছে।”
বার বার ধসের ঘটনায় হতাশা আর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে চৌহালী বাসীদের মধ্যে।
নির্বাহী প্রকৌশলী শাহজাহান সিরাজ জানান, ধসের কারণ উদঘাটনে বুয়েটের দুজন বিশেষজ্ঞ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুজন ঊর্ধ্বতন কর্মকতার সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্যরা বৈঠক করলেও সরজমিনে বাঁধ এলাকা পরিদর্শন করেননি তারা।
রোববার সকাল ১১টা পর্যন্ত ভাঙন স্থানে সংস্কার কাজ শুরু হয়নি; তবে প্রস্তুতি চলছে বলে জানান এ প্রকৌশলী।
চৌহালী উপজেলার পৌনে চার কিলোমিটার ও টাঙ্গাইলের সোয়া তিন কিলোমিটার এলাকা যমুনার ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ১০৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়।
টাঙ্গাইল সদরের সরাতৈল থেকে দক্ষিণে নাগরপুর উপজেলার পুকুরিয়া, শাহজানীর খগেনের ঘাট, সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার ঘোরজানের চেকির মোড়, আজিমুদ্দি মোড়, খাসকাউলিয়া, জোতপাড়া পর্যন্ত বাঁধের কাজ ২০১৫ সালের ২৪ নভেম্বর শুরু হয়।
বাঁধের নির্মাণ কাজ প্রায় ৯৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছিল। চলতি জুলাই মাসেই দুবছর মেয়াদী এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল।