মৃত আব্দুস সবুর (২৪) ‘ডুসিনি মাসুকলার ডিসট্রোফি’ রোগে আক্রান্ত ছিলেন, যার কোনো চিকিৎসা নেই বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
শনিবার দুপুর ২টার দিকে মেহেরপুর শহরের বেড়পাড়ায় নিজেদের বাড়িতে সবুরের মৃত্যু হয় বলে সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আরএমও ডা. অলোক কুমার দাস জানান।
এই তিনজনকে ওষুধ খাইয়ে মেরে ফেলার অনুমতি চেয়ে গত জানুয়ারিতে মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছিলেন সবুরের বাবা তোফাজ্জেল হোসেন।
তিনি শনিবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “চোখের সামনে সন্তানের মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাওয়া সহ্য করতে না পেরে ওষুধ খাইয়ে তাদের মেরে ফেলার অনুমতি চেয়েচিলাম। ভারতসহ নানা জায়গায় চিকিৎসার পর কিছু করা গেলে না।
“অনিবার্য পরিণতি মৃত্যুই হল। আজ না হয় কাল ছোট ছেলেরও একই পরিণতি হবে।”
‘ডুসিনি মাসুকলার ডিসট্রোফিকে’ বাংলায় ‘বংশগত মাংসপেশী দুর্বলতা’ রোগ বলা হয়।
ডা. অলোক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এই রোগটি ক্যান্সারের চেয়েও ভয়াবহ। আক্রান্তের শরীরে সব অংশের মাংসপেশী আস্তে আস্তে জমাট বেঁধে যাবে। চলাফেরা বন্ধের সঙ্গে সঙ্গে কথা বলার শক্তিও হারিয়ে যায়। ১৪ বছরের পর থেকে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায় আক্রান্তরা। মৃত্যু এদের অনিবার্য।”
সন্ধ্যা ৭টার দিকে মেহেরপুর পৌরসভা কবরস্থানে সবুরের দাফন সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান তোফাজ্জেল।