স্রোতের সঙ্গে লড়াই করে ১৭টি ফেরির মধ্যে মাত্র ৯টি নিয়মিত চলাচল করছে এই রুটে। সেইসঙ্গে পারাপারেও লাগছে স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ সময়।
বিআইডব্লিউটিসির কাঁঠালবাড়ি ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ফেরী ঘাটের ব্যবস্থাপক আবদুস সালাম জানান, আট কিলোমিটারের এই নৌপথ স্বাভাবিক সময়ে পারাপারে এক ঘণ্টা ১০ মিনিট সময় লাগে। স্রোতের কারণে এখন সময় লাগছে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা।
স্রোত বেড়ে যাওয়ায় টানা ফেরিগুলোচলতেই পারছে না জানিয়ে তিনি বলেন, এ কারণে যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে অন্য ট্রাকগুলোকে কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে।
“আগে একটি ফেরি প্রতিদিন ৮-১০ বার চলাচল করতে পারত। কিন্তু নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে এখন ৩-৪ বার চলাচল করছে “
মংলা বন্দর থেকে ছেড়ে আসা ট্রাকের চালক আবুল হোসেন বলেন, তিনি ১৫ জুলাই ঘাটে এসেছেন। সপ্তাহ শেষ হচ্ছে, এখনও পার হতে পারেননি।
“আরও কত দিন লাগবে কেউ বলতে পারে না।”
যশোর থেকে আসার ট্রাক চালক কামাল হোসেন বলেন, তিনিও সপ্তাহ ধরে বসে আছেন। তার ট্রাকের মধ্যে কাঁচামাল রয়েছে। কয়েক লাখ টাকার এ পণ্য পচে নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে প্রতিদিন তিন বেলা খাবার কিনে খেতে গিয়ে পকেট ফাঁকা হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাট এলাকার দায়িত্বে থাকা পুলিশের পরিদর্শক উত্তম শর্মা বলেন, “ঘাটে যেন যানজটের সৃষ্টি না হয়, সে জন্য আমরা যানবাহনগুলো সারিবদ্ধভাবে রেখেছি। এ জন্য পুরোনো কাওরাকান্দি ফেরিঘাটেও অনেক যানবাহন রাখা হয়েছে।”