জেলা প্রশাসক গাজী মো. সাইফুজ্জামান শুক্রবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বরিশালের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতির সংবাদ দেখে ওই সময়ের আগৈলঝাড়ার ইউএনও তারিক সালমনকে সাত কর্ম দিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিলাম। তিনি নির্ধারিত সময়ে নোটিশের জবাব দেন।
“নোটিশের জবাবে ইউএনও বলেছিলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর প্রতি শিশুদের পরিচয় করার জন্য স্বাধীনতা দিবসে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এক শিশুর আঁকা জাতির জনকের ছবি ব্যবহার করে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র ছাপা হয়।”
তারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এবং তার জবাব ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছিলেন বলে জানান ডিসি।
বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারিক সালমন বরিশালের আগৈলঝাড়ায় থাকাকালে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে বঙ্গবন্ধুর ছবি ছাপান।
ওই মামলায় সমন জারির প্রেক্ষাপটে ইউএনও তারিক সালমন গত ১৯ জুলাই আদালতে হাজির হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। দুই ঘণ্টা হাজতবাসের পর জামিনে ছাড়া পান তিনি।
ইউএনওকে কারাগারে পাঠানোর আদেশকে ‘নজিরবিহীন’ আখ্যা দিয়ে তার সঙ্গে পুলিশের আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সরকারি কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্টেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।
আদালতের আদেশের পর ইউএনও তারিককে পুলিশ ধরে নেওয়ার ছবি প্রকাশের পর থেকে এর নিন্দা চলছে ফেইসবুকে।
এই প্রেক্ষাপটে তারিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরকারী ওবায়েদ উল্লাহ সাজুকে শুক্রবার দল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন সাজু।