বিএনপি নেত্রী দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন: মোশাররফ

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মামলা মোকাবেলার ভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

ফরিদপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 July 2017, 03:04 PM
Updated : 21 July 2017, 03:04 PM

শুক্রবার ফরিদপুরে এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

মোশাররফ আরও বলেন, “তার ছেলে বিএনপি নেতা তারেক জিয়ার সাত বছরের জেল হয়েছে, তিনি জেল খাটার ভয়ে ফেরারি হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।”

২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া, তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া এতিমখানা ট্রাস্টে দুর্নীতির মামলা করা হয়।

২০১৪ সালের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠন করে খালেদাসহ ছয় আসামির বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ বাসুদেব রায়।

এছাড়া ২০১০ সালের ৮ অগাস্ট জিয়া দাতব্য ট্রাস্টের নামে আসা ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তেজগাঁও থানায় অন্য মামলাটি করে দুদক।

২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চার জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

এছাড়া নাশকতাসহ আরও কয়েকটি অভিযোগেও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, “তারেক জিয়া দেশ ছেড়ে পালিয়ে বিদেশে গিয়ে আমাদের দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার কাজে লিপ্ত রয়েছেন। যারা দেশকে ভালবাসে না তারা কীভাবে এই দেশের মানুষের সমর্থন পাবে?”

শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে দেশের মানুষ না খেয়ে মারা যায় না, সারের জন্য কৃষকের উপর গুলি চালানো হয় না বলে মন্তব্য করেন মোশাররফ।

দেশে এখন সুষমভাবে উন্নয়ন হচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত নেত্রী জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালে দেশে উন্নয়নের নামে ‘লুটপাট’ করা হয়েছে, যার কারণে দেশ অনেক ক্ষেত্রে পিছিয়ে গিয়েছিল।

“শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পর দেশকে পিছিয়ে পড়া থেকে এখন উন্নয়নের মহাসড়কে তুলেছেন।”

স্থানীয় জসিমউদ্দিন হলে ফরিদপুর সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজিত বয়স্ক, বিধবা ও অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধীদের ভাতা বিতরণ অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়ার সভাপতিত্বে অন্যানের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার সুভাষ চন্দ্র সাহা, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন সমাজসেবা অধিদপ্তরের তহবিল থেকে ৮৬৬ জন বয়স্ক, বিধবা ও অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধীদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়।