আ. লীগের বক্তব্য ‘রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত’: ফখরুল

আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্য আক্রমণাত্মক ও রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 July 2017, 11:59 AM
Updated : 21 July 2017, 12:02 PM

শুক্রবার ঠাকুরগাঁওয়ে নিজ বাসভবনে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

গত রোববার খালেদা জিয়া লন্ডন গেছেন। সেখানে তিনি বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় ওঠেন।  

এ বিষয়ে ইঙ্গিত করে বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে এক জনসভায় কাদের বলেন, দেশে বসে রূপরেখা করার সাহস ও যোগ্যতা বিএনপির নেই। তাই লন্ডনে টেমস নদীর পাড়ে বসে নির্বাচন সহায়ক সরকারের রূপরেখা করছে।

“মেইড ইন লন্ডন মার্কা নির্বাচন সহায়ক সরকার এদেশের জনগণ মেনে নেবে না।”

আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্য ব্যক্তিগত আক্রমণাত্মক। এগুলো কোনো রানৈতিক দলের শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে না বলে মন্তব্য করেন ফখরুল।

ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “এত বড় একটা রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদকের পক্ষে এটা মানানসই না। আমরাও আওয়ামী লীগের সমালোচনা করছি, কিন্তু সেগুলো রাজনৈতিক শিষ্টাচার মেনেই আমরা করছি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আওয়ামী লীগ সে কাজটা করে না। তারা ব্যক্তিগত পর্যায়ে আক্রমণ করে।”

“বেগম খালেদা জিয়া দেশের বাইরে চলে যাওয়ার প্রশ্নই উঠতে পারে না।”

ফখরুল বলেন, ১৯৭১ সালে আওয়ামী লীগের লোকেরাই দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন ভারতে। কিন্তু বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কোনোদিনও দেশ ছেড়ে চলে যাননি। তিনি বাংলাদেশে গ্রেপ্তার হয়ে কারাবরণ করেছেন।

১৯৮৪ সালের পর থেকে খালেদা জিয়া রাজপথে থেকে আন্দোলন করে ৯০ সালের গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়ে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন বলে মন্তব্য করেন ফখরুল।

নির্বাচনের বিষয়ে ফখরুল বলেন, “বিএনপি নির্বাচন করতে চায়। আমরা বার বার বলেছি বিএনপি নির্বাচনমুখী দল। অতীতে বিএনপি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে এসেছে। আমরা নির্বাচন করতে চাই। কিন্তু সে নির্বাচনের জন্য একটা পরিবেশ তৈরি করতে হবে।”

আওয়ামী লীগ নেতাদের ভোটের প্রচারের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, “আওয়ামী লীগ হেলিকপ্টারে করে নৌকার জন্য ভোট চেয়ে বেড়াবেন। আর আমরা আদালতের বারান্দা ও জেলখানার ভিতরে থাকব। এটা তো সমান সুযোগ হলো না।”

আগামী নির্বাচন কতটুকু গ্রহণযোগ্য অবাধ সুষ্ঠু হবে সেটা সাধারণ জনগণ বুঝতে পারে বলে তিনি দাবি করেন।

সেজন্য নির্বাচনকালে সহায়ক সরকার প্রয়োজন আছে বলে তার দল মনে করে।

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা সৃষ্টিসহ অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনে সংবিধান পরিবর্তন করার কথাও বলেন তিনি।

এক্ষেত্রে তিনি বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদকে প্রথমে উপ-রাষ্ট্রপতি ও পরে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি করার জন্য সব দলের এক হওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দেন।

এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, বিএনপি নেতায় পয়গাম আলীসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।