বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে এক জনসভায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশে বসে রূপরেখা করার সাহস ও যোগ্যতা বিএনপির নেই। তাই লন্ডনে টেমস নদীর পাড়ে বসে নির্বাচন সহায়ক সরকারের রূপরেখা করছে।
গত রোববার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া লন্ডন গেছেন। সেখানে তিনি বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় ওঠেন।
“মেইড ইন লন্ডন মার্কা নির্বাচন সহায়ক সরকার এদেশের জনগণ মেনে নেবে না,” বলেন কাদের।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিষয়ে তিনি বলেন, সংবিধানের বাইরে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। নির্বাচন কমিশনের অধীনেই আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপি হেরে যাবে বলে নির্বাচনে আসতে চায় না, জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উদ্দেশে কাদের বলেন, ঈদের পর দেখতে দেখতে এক মাস পর তিনি চলে গেলেন লন্ডনে। এমনি করে রোজার ঈদের আন্দোলন কোরবানীর ঈদেও সম্ভব হচ্ছে না। এভাবে ঈদ দেখতে দেখতে ১৭টি ঈদ চলে গেল আন্দোলনে আর নামা হলো না বিএনপির।
বিএনপি সাড়ে আট বছরে সাড়ে আট ঘণ্টাও আন্দোলন করতে পারেনি। তাই নির্বাচনে হেরে যাবে বলে নতুন কৌশল খুঁজছে, বলেন কাদের।
জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভা ও সদস্য সংগ্রহ অভিযান উপলক্ষে দুপুরে শহরের জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চে আয়োজিত জনসভায় মন্ত্রী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধূরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম, জেলা সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ফজিলাতুননেসা বাপ্পী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সরাইলের শাহবাজপুর ব্রিজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।