ঘুষের মামলায় অভিযোগ গঠন পর্যন্ত জামিন শ্যামল কান্তির

নারায়ণগঞ্জ বন্দরে এক শিক্ষিকাকে এমপিওভুক্ত করে দেওয়ার আশ্বাসে ঘুষ গ্রহণের মামলায় বিচার শুরু না হওয়া পর্যন্ত জামিন পেয়েছেন শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত।

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 July 2017, 02:24 PM
Updated : 20 July 2017, 02:26 PM

বৃহস্পতিবার মামলার নির্ধারিত দিনে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ হোসনে আরা আকতারের আদালতে হাজির জয়ে জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করলে শুনানি শেষে তা মঞ্জুর করেন বিচারক।

এর আগে গত ১৩ জুলাই ঘুষ গ্রহণের মামলাটি বিচারের জন্য আমলী আদালত থেকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়।

শ্যামল কান্তি ভক্তের আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অন্তবর্তীকালীন জামিনে ছিলেন।

“ধার্য তারিখে আমরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে তার স্থায়ী জামিনের আবেদন জানালে শুনানি শেষে আদালত অভিযোগ গঠনের আগ পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন।”

এ বিষয়ে শ্যামল কান্তি ভক্ত সাংবাদিকদের বলেন, “আমাকে নারায়ণগঞ্জ থেকে বিতাড়িত করার জন্যে পূর্ব পরিকল্পনা করে এই মিথ্যা মামলাটি দেওয়া হয়েছে। ওই শিক্ষিকা এই মিথ্যা মামলাটি দিত না, তাকে দিয়ে দেওয়ানো হয়েছে।”

“সেলিম ওসমানের মামলাটির সঙ্গে এই মামলা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তারা চাচ্ছে আমি তাদের পক্ষে গিয়ে মেলামেশা করে মামলাটি তুলে ফেলি।”

প্রতিনিয়ত হুমকি ধামকি পাচ্ছেন অভিযোগ করে তিনি বলেন,“আমাকে মানসিকভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছে। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা চাই।”

গত বছরের ১৩ মে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার কল্যাণদীতে পিয়ার সাত্তার লফিত উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অবমাননার কটূক্তির অভিযোগ এনে স্থানীয় এমপি সেলিম ওসমানের নির্দেশে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে কান ধরে উঠবস করানোর ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পেলে সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

একই বছরের ১৭ জুলাই ওই স্কুলের শিক্ষিকা মোর্শেদা বাদী হয়ে এমপিওভুক্ত করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তার কাছ থেকে এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে শ্যামল কান্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন।

ওই মামলায় পুলিশ এবছরের ২৪ মে অভিযোগপত্র দাখিল করলে আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। ওইদিন বিকালে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত তা নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। গত ৩১ মে জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন ২০ জুলাই পর্যন্ত শ্যামল কান্তির অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন।