খুলনা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিরুল আজাদ জানান, বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে সেখানে।
বুধবার ভোর ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ১২ মিলিমিটার।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই খুলনা শহরে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে; পরিমাণে কখনও কম, আবার কখনও বেশি। তবে এই বৃষ্টিতে একপ্রকার গৃহবন্দি হয়ে পড়েছে নগরবাসী। খুব প্রয়োজন ছাড়া তেমন কেউ বের হচ্ছেন না।
পেশার তাগিদে বা জরুরি কাজে যারা বের হচ্ছেন, জলাবদ্ধতার কারণে গাড়ি না পেয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।
এসব এলাকার অনেক ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি উঠেছে। নিন্মাঞ্চলের বস্তি ঘরগুলোতে দেখা গেছে হাঁটু পানি। বন্ধ দেখা গেছে বড়বাজারসহ অভিজাত অনেক বিপণীবিতান।
এদিকে বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে রিকশা, মাহেন্দ্র ও ইজিবাইক চালকরা যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে ।
সপ্তাহের শেষ দিন নগরীর অধিকাংশ স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল কম। যারা অফিস-আদালতে গেছেন, তাদের পড়তে হয়েছে চরম ভোগান্তিতে।
খুলনার জেলা প্রশাসক মো. আমিন উল আহসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অবিরাম বৃষ্টির কারণে রাস্তায় পানি জমে নাগরিকদের সমস্যা হচ্ছে। তবে নয় উপজেলার কোথায় কোনো বাঁধে ভাঙ্গন বা উল্লেখেযোগ্য ক্ষয়-ক্ষতির তথ্য আসেনি।
আবহাওয়া কর্মকর্তা আজাদ বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি স্থলভাগে এসে দুর্বল হয়ে লঘুচাপে পরিণত হলেও এর প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোতে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত বহাল রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার সারাদিনই বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে শুক্রবার সকাল থেকে আবহাওয়া স্বাভাবিক হতে শুরু করবে।”