বুধবার বেলা ১২টার দিকে বরিশাল মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক মো. আলী হোসেন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর কিছুক্ষণ পর একই আদালত ইউএনও তারিকের জামিন মঞ্জুর করেন বলে জানান তার আইনজীবী মোখলেছুর রহমান খান।
মামলার বাদী বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ওবায়েদ উল্লাহ সাজু বলেন, বরিশালের আগৈলঝাড়ার ইউএনও থাকাকালে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃত করে ছাপানো হয়।
“ছবি বিকৃত করায় অনেকেই মর্মাহত হয়েছেন। তাই এ ঘটনায় গত ৭ জুন তারিক সালমানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করি।”
তিনি বলেন, বিচারক মামলা আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে সমন জারি করে।
“বুধবার নির্ধারিত দিনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারিক সালমান আদালতে হাজির হয়ে সন্তোষজনক উত্তর দিতে না পারায় তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত।”
তারিক সালমন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “স্বাধীনতা দিবসে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় । এক শিশুর আঁকা জাতির জনকের ছবি ব্যবহার করে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পত্র ছাপা হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল বঙ্গবন্ধুর প্রতি শিশুদের ভালবাসা সৃষ্টি এবং ছবি আঁকার প্রতি তাদের আগ্রহী করে তোলা।”
মোখলেছুর রহমান খান বলেন, যেহেতু এটা জামিনযোগ্য ধারা ছিল, তাই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় ইউএনও তারিককে জামিন দিয়েছে আদালত।
তবে জামিন মধ্যবর্তী সময়ে ঘণ্টা দুয়েক ইউএনওকে কারা হাজতে থাকতে হয় বলে জানান তিনি।