সিরাজগঞ্জের সেই বাঁধে আবার ধস

সিরাজগঞ্জে শতাধিক কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন চৌহালী উপজেলা রক্ষা বাঁধে আবার ধস নেমেছে।

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 July 2017, 08:35 AM
Updated : 19 July 2017, 08:51 AM

বাঁধ তদারকের দায়িত্বে থাকা টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহজাহান সিরাজ জানান, বুধবার ভোরে বাঁধের খাসকাউলিয়া অংশে ২০ মিটার ধসে যায়।

নির্মাণাধীন বাঁধটিতে আড়াই মাসে সাতবার ধস নামায় এলাকার মানুষের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে।

প্রকৌশলী শাহজাহান এর আগে জানিয়েছিলেন, চৌহালী উপজেলার পৌনে চার কিলোমিটার ও টাঙ্গাইলের সোয়া তিন কিলোমিটার এলাকা যমুনার ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ১০৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়।

টাঙ্গাইল সদরের সরাতৈল থেকে দক্ষিণে নাগরপুর উপজেলার পুকুরিয়া, শাহজানীর খগেনের ঘাট, সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার ঘোরজানের চেকির মোড়, আজিমুদ্দি মোড়, খাসকাউলিয়া, জোতপাড়া পর্যন্ত বাঁধের কাজ ২০১৫ সালের ২৪ নভেম্বর শুরু হয়।

মাটি ফেলে জিও টেক্স ও ব্লক দিয়ে তৈরি করা হয় বাঁধ। তার ওপর পাথরের ড্রেসিং শেষে সিসি ব্লক বিছানো হয়।

প্রকৌশলী শাহজাহান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নির্মাণকাজ প্রায় ৯৫ শতাংশ শেষ হওয়ার পর আড়াই মাসে সাতবার ধস নামায় আমরাও বিব্রত। এ বিষয়ে প্রধান প্রকৌশলী ও পাউবোর মহাপরিচালককে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।”

তারা দ্রুত পরিদর্শন করে কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন বলে তিনি আশা করেন।

ধসের কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, এ এলাকার মাটির ধারণক্ষমতা কম। আর নদীতে বেশি পানির কারণে তলদেশে ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হচ্ছে। এসব কারণে ধস নামছে।

ধসের কারণ উদঘাটনে বুয়েটের দুজন বিশেষজ্ঞ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুজন ঊর্ধ্বতন কর্মকতার সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে গত ৩ জুলাই ষষ্ঠবারের ধসের পর তিনি জানিয়েছিলেন।

কমিটি বাঁধ এলাকা পরিদর্শন করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, তারা বাঁধ রক্ষায় পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করবেন।

এদিকে গত সোমবার সিরাজগঞ্জ সদরের বাহুকা এলাকায় ভেঙে যাওয়া একটি বাঁধ পরিদর্শনে এসে পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইমলাম মাহমুদ চৌহালী উপজেলা রক্ষা বাঁধের ভাঙন প্রসঙ্গে বলেছেন, এ বাঁধটি রক্ষায় বড় প্রকল্প চলমান রয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে পুনর্নির্মাণকাজ শুরু করা হবে।