নোয়াখালীর সুবর্ণচরের কাটাখাল থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার সাগরপথের পর এ স্বর্ণদ্বীপের নিয়ন্ত্রণ সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশন ও কুমিল্লা এরিয়ার হাতে।
দ্বীপ থেকে ফেরার পথে ট্রলারের মাঝি আজাদ মিয়া ও লস্কর আবুল হাশেম জানান, আনুমানিক ২০/২৫ বছর আগে স্বর্ণদ্বীপ এলাকায় একটি জাহাজ চরে আটকে যায়। তখন থেকে চরটি জাহাইজ্জার চর নামেই পরিচিত ছিল।
এক কালের ডাকাত ও জলদস্যুদের আস্তানা সাগর নদী খাল ও জঙ্গল পরিবেষ্টিত এই জাহাইজ্জার চর পরিদর্শনে এসে চরটির ‘স্বর্ণদ্বীপ’ নামকরণে সম্মতি দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার বিকালে কুমিল্লার এক দল সাংবাদিক চর দেখাতে সেখানে নিয়ে যায় সেনাবাহিনী।
ট্রলারে করে চরে যাওয়ার সময় মেজর মো. তাওহীদ আলী জানান, ২০১৩ সালের ৮ মার্চ সেনাবাহিনী চরটি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড শুরু করে। ২০১৪ সালের ২ এপ্রিল এ চরে ডাকাতদের ফেলে যাওয়া বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে তারা।
স্বর্ণদ্বীপ টাক্সফোর্স সদর দপ্তরের সমন্বয়কারী কর্মকর্তা মেজর আজাদ বলেন, “সেনাবাহিনী দায়িত্ব নেওয়ার পর দ্বীপটিতে ব্যাপক উন্নয়ন চালানো হয়েছে।দ্বীপটিকে দেশের আধুনিক সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে।”
সামরিক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি আধুনিক ট্রেনিং সুবিধা ও প্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে।
সেইসঙ্গে ৩৭০ বর্গ কিলোমিটারের দ্বীপটিতে ৬০ হাজার ঝাউগাছ, ভিয়েতনামের দেড় হাজার সিয়াম নারিকেলের চারা ও ১৭০০ ফলদ গাছ লাগানো হয়েছে বলে জানান এ সেনা কর্মকর্তা।
চরের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনে মঙ্গলবার বন ও পরিবেশমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু স্বর্ণদ্বীপ যাচ্ছেন। এ সময় ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি এবং কুমিল্লা এরিয়ার এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল রাশেদ আমিনসহ সেনা কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।