আশুলিয়ার ৪ ‘জঙ্গির’ বিরুদ্ধে দুই মামলা

ঢাকার আশুলিয়ায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রাখা বাড়ি থেকে আত্মসমর্পণকারী চার ‘জেএমবির’ বিরুদ্ধে দুইটি মামলা হয়েছে।

সাভার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 July 2017, 12:12 PM
Updated : 17 July 2017, 12:13 PM

র‌্যাব-৪ এর সুবেদার শরিফুল ইসলাম খান বাদী হয়ে সোমবার সন্ত্রাস বিরোধী এবং অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা করেন বলে আশুলিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল জানান।

তিনি বলেন, মামলায় জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে আত্মসমর্পণকারী সারোয়ার-তামিম গ্রুপের চার জঙ্গিকে আসামি করা হয়েছে।

এরা হলেন ময়মনসিংহের ত্রিশালের সাংকিভাঙ্গা গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে মোজাম্মেল হক মাসুদ (১৮), চট্টগ্রামের রাউজানের কদলপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে ইরফানুল ইসলাম ওরফে সুফিয়ান খান ওরফে এরফান (২০), গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার উদাখালি গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে রাশেদুন্নবী রাশেদ (২০) ও সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ থানার হুগলি গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে মো. আলমগীর (১৮)।

গত ২৮ এপ্রিল সাভার মডেল থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দায়ের এক মামলায় সোমবার আদালত তাদের চার দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে।

শনিবার রাত ১টার দিকে আশুলিয়ার চৌরাবালি এলাকায় ইব্রাহীমের ভাড়া দেওয়া টিনশেড বাড়ি ঘিরে ফেলে র‌্যাব। প্রায় ১১ ঘণ্টা বাড়িটি ঘিরে রাখার পর সন্দেহভাজন চার জঙ্গি আত্মসমর্পণ করে।

আজাদ নামের এক লোক গার্মেন্ট কর্মী পরিচয় দিয়ে গত মাসে আড়াই হাজার টাকায় টিনশেডের ওই বাসা ভাড়া নেন বলে বাড়ির মালিক ইব্রাহীম র‌্যাবকে জানিয়েছিলেন।

ওই চার যুবকের আত্মসমর্পণের পর ডগ স্কোয়াড দিয়ে তল্লাশি চালিয়ে বাড়ির ভেতরে কয়েকটি আইইডি (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) পাওয়ার কথা জানায় র‌্যাব।

পরে বোমা নিস্ক্রিয়কারী দল তিনটি বোমা নিস্ক্রিয় করে। বাড়িটি তল্লাশি করে র‌্যাব দুটি বিদেশি পিস্তল, ছয় রাউন্ড গুলির খোসা, দুটি ম্যাগজিন ও আটটি জিহাদী বই উদ্ধার করে।

বাড়ির মালিক ইব্রাহিমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। পরে সোমবার তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

সোমবারও ওই বাড়ির সামনে প্রহরায় রয়েছে র‌্যাব। জঙ্গিদের ভাড়া নেওয়া কক্ষগুলো তালা লাগিয়ে দিয়েছে তারা।

র‌্যাব-৪ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর আব্দুল হাকিম বলেন, জঙ্গি অভিযানের রাতে বাড়িটির মালিক ইব্রাহিমকে আটকের পর জিঞ্জাসাবাদ শেষে তার স্ত্রীর জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

“তবে বাড়িটিতে ফরেনসিক বিভাগের কাজের জন্য র‌্যাব সদস্যরা পাহারায় রয়েছে। বাড়িটি খুলে দেওয়া হলে লোকজনের অবাধ যাতায়াতে মামলার গুরুত্বপূর্ণ আলামত নষ্ট হয়ে যাবে।”