পূর্বধলা থানার ওসি অভিরঞ্জন দেব জানান, উপজেলার শ্যামগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির কাছে নেত্রকোনা-ময়মনসিংহ সড়ক থেকে শুক্রবার বিকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আটক আতিকুল ইসলাম খান পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের অফিস সহকারী। তিনি উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের ইয়ারন গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে।
ওসি অভিরঞ্জন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত ৫ জুলাই ইউএনও নমিতা দে ২৪ লাখ ২০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক আতিকের বিরুদ্ধে থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলার পরপরই বিষয়টি জেনে আত্মগোপন করেন আতিকুল ইসলাম।
এর আগে এ বিষয়ে ইউএনও নমিতা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, চলতি বছর ১২ জুন আতিকুলকে পূর্বধলা সোনালী ব্যাংকে থাকা দুটি অ্যাকাউন্টের স্থিতি সম্পর্কে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
“কিন্তু তিনি কোনো তথ্য দিচ্ছিলেন না। পরে সন্দেহ হলে আমি অন্য অফিস সহকারীদের নিয়ে কাগজপত্র পরীক্ষা করে অ্যাকাউন্টে গরমিল পাই। ২ জুলাই ব্যাংক প্রয়োজনীয় তথ্য দিলে তাতে দেখা যায়, আতিক বিভিন্ন সময় ব্যাংক থেকে সাতটি চেক জালিয়াতি করে ২৪ লাখ ২০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন।”
আগের ইউএনও মোহাম্মদ নূর হোসেনের স্বাক্ষর জাল করে আতিক এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে ইউএনও তার ধারণার কথা জানান।
এ বিষয়ে আতিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন।