বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আফতাব উদ্দিন শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
শ্যামল কান্তি ভক্তের আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ঘুষের মিথ্যা অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় শ্যামল কান্তি ভক্ত আগামী ২০ জুলাই পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালিন জামিনে রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার শ্যামল কান্তি আদালতে আজকে হাজিরা দিয়েছেন বলেও জানান সাখাওয়াত।
হাজিরা শেষে বের হয়ে শ্যামল কান্তি সাংবাদিকদের বলেন, “আমি আমার ও আমার পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কে আছি। গত কিছুদিন আগে আমি যে পাড়ায় থাকি সেখানে দুজন ইয়াং ছেলে দুটি অস্ত্র নিয়ে একজনের বুকে অন্যজন, অন্যজন অপরজনের মাথায় তাক করেছে।
“এটা শো না আতঙ্ক, আমি সঠিক বলতো পারব না। হয়ত তারা আমাকে ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যেই এভাবে অস্ত্রগুলো শো করেছে। নিরাপত্তার কারণে আমি আমার তিনটা মেয়েকে এখানে রাখতে পারছি না।”
তারা স্বামী-স্ত্রী দুজনই এখানে চাকরি করেন বলে কোথাও যাওয়ার সুযোগ নেই বলে জানান।
একই বছরের ১৭ জুলাই ওই স্কুলের শিক্ষিকা মোর্শেদা বাদী হয়ে এমপিওভুক্ত করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তার কাছ থেকে এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় পুলিশ এবছরের ২৪ মে অভিযোগপত্র দাখিল করলে আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। ওইদিন বিকালে আদালতে আত্মসর্মণ করে জামিন চাইলে আদালত তা নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। গত ৩১ মে জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন আগামী ২০ জুলাই পর্যন্ত শ্যামল কান্তি ভক্তের অন্তর্বর্তীকালিন জামিন মঞ্জুর করেন।