মাগুরার জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান বুধবার আসামির উপস্থিতে এ আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আমিরুল ইসলাম (৩৮) জেলার মহম্মদপুর উপজেলার চৌবাড়িয়া গ্রামের সোবহান মোল্লার ছেলে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কামাল হোসেন জানান, পারিবারিক কলহের জেরে ২০১১ সালের ৫ জুন সন্ধ্যায় আমিরুল তার গর্ভবতী স্ত্রী কবিতা খাতুনকে মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করলে তার মৃত্যু হয়।
“একই সময় আমিরুল তার পাঁচ বছরের মেয়ে জামিলাকে গলা টিপে হত্যা করেন। পরে দুটি লাশই বাড়ির পাশের পাটক্ষেতে মাটি চাপা দিয়ে পালিয়ে যান।”
ঘটনার পরদিন কবিতার বাবা শালিখার চিলেডাঙ্গা গ্রামের রকিব মোল্লা আমিরুমকে একমাত্র আসামি করে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ ঘটনার চার দিন পর ৯ জুন আমিরুলকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন আমিরুল আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
আইনজীবী কামাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে বিচারক শেখ মফিজুর রহমান বুধবার বেলা ১২টায় আসামির মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন।
“ট্রিপল মার্ডারের এ মামলায় আসামির মৃত্যুদণ্ডে ন্যায় বিচার হয়েছে।”
অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ বলছেন, সাক্ষ্য-প্রমাণে এ মামলায় আসামি দোষী প্রমাণিত হননি।
“শুধু স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে বিচারক এ রায় দিয়েছেন।”
আসামি এ আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে তিনি জানান।