নবাবগঞ্জ থানার ওসি মো. মোস্তফা কামাল জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার বান্দুরা হাসনাবাদ এলাকায় হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সোনিয়া আক্তার (৩০) উপজেলার যন্ত্রাইল গ্রামের মো. শামসুদ্দিনের দ্বিতীয় স্ত্রী।
এই দম্পতি নিজেরা চিকিৎসক না হলেও বিভিন্ন এলাকায় অন্যদের সঙ্গে যৌথ মালিকানায় ক্লিনিক ব্যবসা পরিচালনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।
ওসি মোস্তফা প্রাথমিক তদন্তের বরাতে বলেন, সোনিয়া শামসুর দ্বিতীয় স্ত্রী, আর শামসু সোনিয়ার চতুর্থ স্বামী। এই দম্পতির মধ্যে প্রতিনিয়ত ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকত। মঙ্গলবার রাতে সোনিয়ার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা গিয়ে শামসুদ্দিনকে চলে যেতে দেখলে তাদের সন্দেহ হয়।
“খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ঘরের ভেতর সোনিয়ার ক্ষত-বিক্ষত লাশ পড়ে থাকতে দেখে। শামসু তাকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।”
স্থানীয়রা বলছেন, এই দম্পতি সম্প্রতি একটা নতুন ক্লিনিক খোলার উদ্যোগ নিলে সোনিয়া সেটা তার নামে করার জন্য চাপ দেন। শামসু তাতে রাজি না হওয়ায় তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে ওঠে। এই দ্বন্দ্ব থেকে হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে স্থানীয়দের ধারণা।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।