সোমবার রাতে উপজেলার ময়লাকান্দা ইউনিয়নের কান্দাপাড়া গ্রামের এই ঘটনায় নিহত জান্নাতুল (১২) স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ছাত্রী।
খুনি হিসেবে চিহ্নিত চাচা মিজানুর রহমান (২৮) মানসিক রোগী ছিলেন বলে জানিয়েছে পরিবারের সদস্যরা।
জান্নাতুলের মা আরজিনা খাতুন বলেন, রাত ৮টার দিকে তিনি রান্না ঘরে ব্যস্ত ছিলেন। হঠাৎ চিৎকার শুনে ঘরে গিয়ে মিজানুরকে ছুরি নিয়ে জান্নাতুলের ওপর হামলে পড়তে দেখেন।
পরে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে জান্নাতুলকে উদ্ধার করে গৌরীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান, শিশুটি মারা গেছে।
স্বজনরা জানান, জান্নাতুলের মৃত্যুর খবর জানতে পেরে রাত ৯টার দিকে নিজের ঘরে ছুরি দিয়ে গলা কেটে আত্মহত্যা করেন মিজানুর।
মিজানুরের চাচা খলিলুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মিজানুর দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে বাড়িতে বসবাস করছিলেন। অসুস্থতার কারণে স্ত্রী ও সন্তানেরা তাকে ছেড়ে ঢাকায় চলে যায়।
গৌরীপুর থানার ওসি দেলোয়ার আহমেদ বলেন, “আমাদের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়েছে। লাশ দুটি থানায় আনার পর ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।”
হত্যার কারণ এখনও পরিষ্কার নয় জানিয়ে ওসি বলেন, ময়নাতদন্তের পর হত্যার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
ফুফুকে কুপিয়ে হত্যা
জমি নিয়ে বিরোধে ময়মনসিংহের নান্দাইলে ফুফুকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন এক যুবক।
সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকের এ ঘটনায় নিহতের নাম আবু হানিফা (৬৫)।
তার ভাতিজা আবু কাউসার (২০) পালিয়ে গেছে।
নান্দাইল থানার ওসি ইউনূস আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “উপজেলার চন্ডীপাশা ইউনিয়নের বাইরনাল গ্রামের ওমর আলীর ছেলে কাউসার তার ফুফু আবু হানিফাকে দা দিয়ে মাথায় কোপানোর পর ইট দিয়ে মাথা থেতলে দেয়।”
স্থানীয়রা হানিফাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসার সময় রাত সাড়ে ১১টার দিকে আবু হানিফা মারা যান।
ঘটনার পর কাউসার ও তার বাবা ওমর আলীসহ পরিবারের সব সদস্য পালিয়ে যায় জানিয়ে ওসি বলেন, তাদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।