তালাবদ্ধ নগর ভবনের সামনে কর্মচারীদের বিক্ষোভ অব্যাহত

বকেয়া পরিশোধ ও বেতন বৃদ্ধিসহ ১১ দফা দাবিতে কর্মচারীদের দেওয়া তালায় দ্বিতীয় দিনের মত অচল রাজশাহী নগর ভবন।

রাজশাহী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 July 2017, 10:19 AM
Updated : 10 July 2017, 10:19 AM

সোমবার সকাল থেকে তালাবদ্ধ ভবনের প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছে শ্রমিকরা। আর দ্বিতীয় দিনের মত নগর ভবনে প্রবেশ করতে পারেননি করপোরেশনের কর্মকর্তারা।

তাছাড়া শ্রমিকদের দেওয়া তালায় দ্বিতীয় দিনের মত বন্ধ রয়েছে চিড়িয়াখানা ও সিটি করপোরেশনের গ্যারেজ।

১১ দফা দাবিতে রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নগর ভবনের প্রধান ফটক, সিটি করপোরেশন নিয়ন্ত্রিত শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান চিড়িয়াখানা ও উদ্যান এবং শালবাগানে অবস্থিত গ্যারেজে তালা ঝুলিয়ে দেয় কর্মচারীরা।

রাজশাহী সিটি করপোরেশন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি দুলাল শেখ বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক পরিপত্রে দক্ষ নিয়মিত কর্মচারীদের দৈনিক ৫০০ টাকা এবং অদক্ষ অনিয়মিত কর্মচারীদের প্রতিদিন ৪৫০ টাকা মজুরি নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু এক বছরেও করপোরেশন কর্মচারীদের মজুরি বাড়ায়নি।

“করপোরেশনের ২২০০ কর্মচারীকে এখনও ৩৩০ টাকা করে মজুরি দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারিদের পাওনা রয়েছে ৪০ লাখ টাকা। যা পরিশোধের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।।”

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত নগর ভবনের তালা খোলা হবে না বলে জানান দুলাল শেখ।

ইউনিয়নের ১১ দফা দাবি হলো- দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারীদের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের পরিপত্র অনুযায়ী মজুরি বৃদ্ধি, স্থায়ী কর্মচারীদের জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতি প্রদান, স্থায়ী কর্মচারীদের গৃহ নির্মাণে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা, মৃত ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের পোষ্যদের চাকরি প্রদান, মৃত ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের অবসরকালীন ভাতা প্রদান, স্থায়ী কর্মচারীদের বদলি, শোকজ ও সাসপেন্ড বন্ধ এবং বরখাস্তকৃতদের চাকরিতে পুনর্বহাল, সাংগঠনিক কাঠামো সংশোধনপূর্বক নিয়োগের ব্যবস্থা, মজুরিভিত্তিক কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ী, কল্যাণ তহবিল বাস্তবায়নে চূড়ান্ত অনুমোদন এবং স্থায়ী কর্মচারীদের পোশাক, জুতা ও ছাতাসহ বকেয়া পাওনা পরিশোধ করা। 

এ বিষয়ে সিটি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, কর্মচারীদের দাবি অযৌক্তিক। কোনো শ্রমিক ইউনিয়নের গঠণতন্ত্রে প্রতিষ্ঠানে তালা দিয়ে দাবি আদায় করার কথা বলা নেই। তারপরও তারা নগর ভবনসহ তিনটি প্রতিষ্ঠান তালা দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে।

“গত বৃহস্পতিবার কাউন্সিলররা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে নয়টি দাবি মানার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে বেতন বৃদ্ধি এবং কর্মচারীদের শোকজ ও সাসপেন্ডে দাবি দুইটি মানা সম্ভব নয়।”

তিনি বলেন, এ নিয়ে আগামী রোববার তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই তারা আন্দোলনে চলে গেছেন।