নিহত তাসলিমা আক্তার (২২) উপজেলার চরদরবেশ ইউনিয়নের মধ্যম চরদরবেশ গ্রামের নূর আলমের স্ত্রী।
সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নূরুল আলম জানান, রোববার দুপুরে গলায় ফাঁস দেওয়া তাসলিমাকে কয়েকজন লোক হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়।
নিহত তাসলিমার বাবা অবদুর রব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বছর পাঁচেক আগে বিয়ের পর থেকে তাসলিমার বেকার স্বামী নূর আলম, শাশুড়ি মনজা খাতুন, ননদ হাজেরা খাতুন ও ফুফুশাশুড়ি রহিমা আক্তার মিলে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে বাবার বাড়ি থেকে টাকা-পয়সা আনার জন্য চাপ দিতেন।
“তাসলিমা একাধিকবার আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে স্বামী ও তার শশুরবাড়ির লোকজনকে দিয়েছে। মাস ছয়েক আগে নূর আলম দোকান দেওয়ার জন্য আরও ৫০ হাজার টাকা দাবি করে।”
টাকা দিতে না পারায় তাসলিমাকে পিটিয়ে আহত করার পর গলায় ওড়না পেঁছিয়ে হত্যা করা হয় বলে তার বাবার অভিযোগ।
সোনাগাজী থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবির বলেন, মৃত্যুর পর থেকে তাসলিমার স্বামীর বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় তার বাবা থানায় হত্যা মামলার প্রস্ততি নিচ্ছেন।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।