শনিবার সন্ধ্যায় লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম মোর্শেদ এ কথা জানান।
গত ২৬ জুন গভীর রাতে স্পিডবোটে করে পাটগ্রাম উপজেলার তিস্তা নদীতে নৌকায় করে চোরাকারবারীদের ধাওয়া করতে গিয়ে নদীতে পড়ে গিয়ে নিখোঁজ হন বিজিবির ল্যান্স নায়েক সুমন হাওলাদার।
দুই দিনপর দহগ্রাম এলাকায় তিস্তা নদীতে ভারতীয় অংশ থেকে বিএসএফ অরুণ ক্যাম্পের সদস্যরা সুমনের লাশ উদ্ধার করে।
গোলাম মোর্শেদ বলেন, শুক্রবার রাতে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের নায়েক শেখ আব্দুল ওয়াহেদ পাটগ্রাম থানায় ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
তবে কারা এ মামলার আসামি কারা তা জানান নি বিজিবি কর্মকর্তা মোর্শেদ।
তিনি বলেন, শুক্রবার রাতে পাটগ্রাম থানা পুলিশের কাছে চারজনকে তুলে দিয়েছে বিজিবি। শনিবার তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এরা হলেন, পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রামের কাতিপাড়া এলাকার আয়নাল হকের ছেলে সাহেব আলী (৪৫), আব্দুর রশিদের ছেলে আবু তালেব (৪৫), মোহাম্মদ আলীর ছেলে সোনা মিয়া (৩৪) ও আব্দুল গফুর শেখের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪০)।
দহগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিজিবি সদস্য সুমন নিখোঁজের পর দুই দফায় দহগ্রাম থেকে সাতজনকে আটক করা হয়েছিল। যাদের মধ্যে চারজনকে শনিবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
“বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় মসজিদের ইমাম নুরুল হাসানকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এখনও তহিজুল ইসলাম ও তৈজুল হক নুরুকে থানায় বা তাদের পরিবারের কাছে ফেরত দেয়নি বিজিবি।”
লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম মোর্শেদ শুক্রবার রাতের মামলার কথা নিশ্চিত করলেও ‘আটক’ নুরুল, তহিজুল ও তৈজুলের বিষয়ে কিছু জানান নি।