সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নে শুক্রবার রাত ৩টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত তৃতীয় দিনের এই অভিযান চালানো হয় বলে জানান সাঘটা থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ময়নুল হকের নেতৃত্বে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটসহ জেলা পুলিশ, গোয়েন্দা ও সাঘটা থানা পুলিশের ৫০ জনের দল হলদিয়া ইউনিয়নের চরদিঘলকান্দি ও প্রজাপতি চরসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
“অভিযানে কেউ আটক হয়নি। জঙ্গি আস্তানা বা কোনো অস্ত্রশস্ত্রও মেলেনি।”
এর আগে বুধবার সদর উপজেলার মোল্লারচর ইউনিয়নের আটটি চরে প্রথম দফার অভিযানে এক নৌ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করার কথা জানায় পুলিশ।
বৃহস্পতিবার ফুলছড়ি উপজেলার বিভিন্ন চরে দ্বিতীয় দিনের অভিযান চালিয়ে পুলিশ কোনো পুরুষকে খুঁজে পায়নি।
ফুলছড়ি থানার ওসি আবু হায়দার মো. আশরাফুজ্জামান বলেছিলেন, “অভিযানের কথা টের পাওয়ায় ওই সব এলাকা পুরুষশূন্য হয়ে পড়ায় কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।”
জঙ্গি আস্তানার সন্ধান, বিভিন্ন মামলার আসামি ও নৌডাকাত গ্রেপ্তারে গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মইনুল হকের নেতৃত্বে ৫০ জন সদস্যের দলটি এ অভিযানে অংশ নেয়।
অভিযান সম্পর্কে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবদুল্লাহ্ আল ফারুক এর আগে বলেছিলেন, চরাঞ্চলে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীরা আত্মগোপন করে থাকতে পারে সন্দেহে অভিযান চালানো হয়। এছাড়া নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধির সময় চরাঞ্চলে নৌ-ডাকাতি বৃদ্ধি পায়। এসব অপরাধ রোধে আগাম ব্যবস্থা হিসেবে জেলা পুলিশের সিদ্ধান্তে এই অভিযান চালানো হয়।