শুক্রবার উপজেলার কেওঢালা থেকে ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করা হলেও এ ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
পরে নারায়ণগঞ্জ বিচারিক হাকিম মেহেদী হাসানের আদালতের হাজির করা হয় এবং শুনানি শেষে তাকে গাজীপুর কিশোর সংশোধনাগারে নিরাপত্তা হেফাজতে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম মেয়েটিকে ‘তুলে নিয়ে যাওয়ার’ পর এবং মামলা হওয়ার পর সংবাদ প্রকাশ করে।
ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা আদালতে সাংবাদিকদের বলেন, তার পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে (১২) দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করত একই উপজেলা ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের শ্রীরামপুর গ্রামের এক কিশোর (১৬)।
তিনি বলেন, গত ২৭ জুন বিকালে ওই স্কুল ছাত্রীকে বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে ওিই ছেলেসহ ৩-৪ জন অপরহরণ করে নিয়ে যায়। তিনি স্থানীয়ভাবে উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ উদ্ধারের কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
ওই রাতেই গ্রাম্য মাতবরেরা তার মেয়ের সঙ্গে ওই কিশোরের বিয়ে দেন বলে জানান তিনি।
ওই ছাত্রীর চাচি বলেন, ঘটনার দিন মেয়েকে আনতে ওই বাড়িতে গেলেও ছেলের মা ও আত্মীয়স্বজন মেয়ের সঙ্গে তাকে দেখা করতে দেয়নি। উল্টো মেয়েকে নানা ধরনের ভয়ভীতি ও ভুল বুঝিয়ে বিচার সালিশে বিয়ে দেয়।
এদিকে, ওই ঘটনা জানাজানি হলে বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী হাবিবের নির্দেশে গত বুধবার রাতে ওই ছাত্রীর বাবাকে থানায় ডেকে এনে ঘটনার আট দিন পর ছেলের পরিবারের বিরুদ্ধে এই মামলা নেয় পুলিশ।
বন্দর থানার ওসি আবুল কালাম জানান, গোপন সংবাদ পেয়ে বন্দর উপজেলার কেওঢালা থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। পরে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে নিরাপত্তা হেফাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
এই ঘটনায় জড়িত ছেলের পরিবারের কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তাদেরকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানান ওসি।