ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানার ওসি কামরুল ইসলাম জানান, শহরের কলেজ রোড এলাকা থেকে শুক্রবার ভোরে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এরা হলেন- ময়মনসিংহ মহানগর যুবলীগের দুই সদস্য সাজ্জাদ হোসেন ও তানভীর।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে শান্ত (২২) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাতের ওই ঘটনায় ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানায় তিনটি মামলা হয়।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে শহরের কলেজ রোড রেল ক্রসিং মোড়ে হযরত আলী নামে এক ব্যক্তির মোটরসাইকেল ভাংচুর করছিলেন আসাদুল্লাহ অপু নামের (৩০) এক যুবক, যিনি অপর একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে বাধা দিলে অপু ও তার অনুসারীদের সঙ্গে পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু হয়।
এক পর্যায়ে পুলিশ অপুকে আটক করে করে ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়ার পথে মহানগর যুবলীগের সদস্য মনিরুজ্জামার রনির (৩৩) নেতৃত্বে পাঁচটি মোটরসাইকেলে করে তার লোকজন পুলিশের গতিরোধ করেন। পরে ধস্তাধস্তি করে তারা অপুকে ছিনিয়ে নিয়ে যান।
এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানার এএসআই শিবলি, কনস্টেবল রাজন ও আফসার উদ্দিন আহত হন। তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ওসি কামরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশী কাজে বাধা, আসামি ছিনতাই, ভাংচুর ও অবৈধ অস্ত্র রাখার অপরাধে দ্রুত বিচার আইনে পুলিশ বাদী হয়ে দুটি এবং স্থানীয় বাসিন্দা হযরত আলী বাদী হয়ে আরও একটি মামলা করেন।
মামলাগুলোতে রনিসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পরিচয় আরও পাঁচজনকে আসামি করা হয় বলে জানান ওসি।
তিনি বলেন, রাতেই এক আসামি শান্তকে আটক করে পুলিশ। সকালে অভিযান চালিয়ে আরও দুই আসামি সাজ্জাদ ও তানভীরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের পুলিশের হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান ওসি।