সরজমিনে দেখা গেছে, শহরের বড়বাজার, নিউমার্কেট, সোনাপট্টি, লোহপট্টি, শালগাড়িয়া, কালাচাঁদপাড়া, মাঠপাড়া, যুগিপাড়া, রাধানগর, চকছাতিয়ানি, সরদারপাড়া, দোহারপাড়া, রাঘবপুর, মাসুম বাজারসহ পৌসভার ১৫টি ওয়ার্ডের ১০টিতেই কমবেশি জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
অনেক এলাকায় নৌকা ও কলার ভেলায় যাতায়াত করতে দেখা গেছে ‘প্রথম শ্রেণির’ এই পৌরসভার বাসিন্দাদের।
“রাস্তাটি পিচের না মাটির তা বোঝা মুশকিল। অথচ পৌর কর্তৃপক্ষের এ নিয়ে মাথাব্যথা নেই। তারা বছর বছর ট্যাক্স বৃদ্ধির কাজটিই শুধু করে যাচ্ছে। নাগরিক সুবিধার বিষয়টি তাদের মাথায়ই নেই।”
নিউ মার্কেটের কসমেটিক বিক্রেতা দোলন আজিজসহ সবারই একই অভিযোগ।
দোলন বলেন, “মার্কেটে রাস্তায় হাঁটুপানি থাকলে ক্রেতারা আসবে কিভাবে? আমাদের কথা কেউ ভাবছে না। জলাবদ্ধতার কারণে ঈদেও ভালো বিক্রি হয়নি।”
এই শহরকে ডোবার সঙ্গে তুলনা করলেন শিবরামপুর মহল্লার কাপড় বিক্রেতা আমিনুল ইসলাম।
সরজমিন পরিদর্শন ও পৌরবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পৌরসভার বিভিন্ন মহল্লায় জলনিষ্কাশনের নালাগুলো বন্ধ হয়ে আছে। এগুলোর মুখ ইছামতী নদীতে। কিন্তু নদী দখল আর আবর্জনায় নালার মুখগুলো বন্ধ হয়ে গেছে।
জলনিষ্কাশন ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় এ অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে বলে পৌরবাসীর অভিযোগ।
কিন্তু মেয়র মিন্টু বলছেন, “এখানে আমার কি করণীয় থাকতে পারে?”
জলাবদ্ধতার জন্য তিনি বৃষ্টিকে দায়ী করে বলেন, “একদিকে সারাদেশে বন্যা হচ্ছে, পাবনায় ব্যাপক বৃষ্টি হচ্ছে, অন্যদিকে সরকারি কোনো বরাদ্দ নেই।
“তার পরও আমি প্রত্যেক ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে পানি প্রবাহের জায়গা ও নালাগুলো পরিষ্কার রাখতে বলেছি, যেন পানি দ্রুত বের হয়ে যায়।”
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “এই পৌরসভায় মেয়র আছেন বলে মনে হয় না। আমরা ব্যবসায়ীরা জলাবদ্ধতা দূর আর রাস্তা সংস্কারের জন্য অনেকবার মেয়রকে বলেছি, কিন্তু তার কোনো উদ্যোগ নেই। কোনো চেষ্টাই নেই তার।”
শালগাড়িয়া মহল্লার হাফিজ রতন বলেন, “উদাসীন মেয়র এ বিষয়ে কিছু চিন্তাভাবনা করেন বলে মনে হয় না। কোনো উদ্যোগ দেখি না।
“আমরা এলাকার লোকজন একাধিকবার মেয়রের কাছে গেলেও মেয়র কোনো উদ্যোগ নেননি। তার কোনো চেষ্টা নেই।”