ঘটনার দুই মাস পর বৃহস্পতিবার চারঘাট মডেল থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয় বলে জানান ওসি নিবারন চন্দ্র বর্মন।
আসামিরা হলেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় সম্পাদক ফয়জুল হাকিম (৫৫), উত্তরাঞ্চল-৩ পাবনার সভাপতি মজিবর রহমান (৫২), উত্তরাঞ্চল-৩ পাবনার ঈশ্বরদীর সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ (৫০) ও চারঘাট উপজেলা সম্পাদক আব্দুল হাকিম (৬০)।
ওসি নিবারন জানান, চলতি বছরের ৭ এপ্রিল চারঘাট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে আব্দুল হাকিমের সভাপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
“ওই সভায় ফয়জুল হাকিম, মজিবর রহমান ও আবুল কালাম আজাদ সরকার স্বাধীনতা যুদ্ধ, পররাষ্ট্রনীতি, সেনাবাহিনী ও দেশ বিরোধী বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য রাখেন।”
এতে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগসহ স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে সভাস্থলে হামলা চালিয়ে তারা চেয়ার ও মঞ্চ ভাঙচুর করে। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয় বলে জানান ওসি।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় স্থানীয় ছাত্রলীগ কর্মী রায়হানুল হক রানা বাদী হয়ে এ চার নেতার বিরুদ্ধে চারঘাট মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন, যাতে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়।
ওসি বলেন, ওই অভিযোগটি জিডি হিসেবে গ্রহণ করে তা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হিসেবে রেকর্ড করার অনুমোদন চেয়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে পাঠানো হয়।
“বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হিসেবে রেকর্ড করার জন্য অনুমোদনের চিঠি থানায় পৌঁছে। দুপুরেই সেটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়।”