স্কুলছাত্রীকে জোর করে বিয়ে, অবশেষে মামলা নিল পুলিশ

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় জোর করে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিয়ের ঘটনার আটদিন পর মামলা নিয়েছে পুলিশ।

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 July 2017, 03:20 PM
Updated : 6 July 2017, 03:21 PM

ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে বুধবার রাতে অপহরণের মামলা করেন বলে জানান বন্দর থানার ওসি আবুল কালাম।

মামলায় ইকবাল হোসেন, তার বাবা নূর মোহাম্মদ, মা পারভীন বেগম ও বড় ভাই ইমরান হোসেনকে আসামি করা হয়েছে।

তবে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার ও ছেলের পরিবারের কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। গ্রাম্য মাতবরদের বাঁচাতে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ওসি বলেন, স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলার পর অপহৃত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার ও আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মামলায় গ্রাম্য মাতব্বরদের আসামি না করার বিষয়ে তিনি বলেন, গ্রাম্য মাতব্বররা বিয়ে করিয়েছে এমন কোনো প্রমাণ তো নেই। যদি তদন্তে তাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় তাহলে তাদেরকে আসামি করা হবে।

বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌসুমী হাবিব বলেন, ওই ছেলের পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তদন্তে গ্রাম্য মাতব্বরদের জড়িত থাকার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তারা ছাড় পাবে না।

মামলার অভিযোগ, উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের বাঁগদোবাড়িয়া গ্রামের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে (১২) দীর্ঘ দিন ধরে উত্ত্যক্ত করত একই উপজেলা ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের  শ্রীরামপুর গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে ইকবাল হোসেন (১৬)। গত ২৭ জুন বিকালে মেয়েটিকে বাড়ির সামনে রাস্তা থেকে ইকবালসহ ৩/৪ জন তুলে নিয়ে যায়।

ওই দিন রাতেই অপহরণকারী ইকবাল, তার বাবা নুর মোহাম্মদ, মা পারভীন বেগম এবং বড় ভাই ইমরানকে আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ করেন মেয়েটির বাবা।

মামলায় আরও অভিযোগ, রাতেই গ্রাম্য মাতব্বর কাবিল হোসেন কাবিলাসহ কয়েকজন বিয়ের জন্য স্থানীয় কাজিকে ডেকে আনেন। এসময় মেয়ের বয়স ১২ বছর ও ছেলের বয়স ১৬ বছর হওয়ায় কাজি বিয়ে পড়াতে অস্বীকৃতি জানিয়ে চলে যান।পরে গ্রাম্য মাতব্বররা মেয়ের বাবার অসম্মতির পরও ৩০০ টাকা মূল্যের স্ট্যাম্পে ৫ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে বিবাহ সম্পন্ন করে ছেলে বাড়িতে মেয়েকে রেখে দেয়।

জোর করে তুলে নিয়ে ১২ বছরের মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার ঘটনা জানাজানি হলে বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌসুমী হাবিবের নির্দেশে বুধবার রাতে মেয়ের বাবাকে থানায় ডেকে এনে ছেলের পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া হয় মেয়েটির পরিাবরের সদস্যরা জানান।