গাইবান্ধার চরাঞ্চলে ফের অভিযান, ‘পুরুষ শূন্য’ গ্রাম

গাইবান্ধার চরাঞ্চলে জঙ্গি আস্তানার খোঁজে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বিতীয় দিনের অভিযান টের পেয়ে গ্রামগুলো পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গাইবান্ধার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 July 2017, 12:02 PM
Updated : 6 July 2017, 01:48 PM

বৃহস্পতিবার অভিযান শেষে ফুলছড়ি থানার ওসি আবু হায়দার মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, “অভিযানের কথা টের পাওয়ায় ওই সব এলাকা পুরুষ শূন্য হয়ে পড়ায় কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।”

প্রথম দফায় বুধবার সদর উপজেলার মোল্লারচর ইউনিয়নের আটটি চরে অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ফের বৃহস্পতিবার ভোররাত ৩টা থেকে বেলা ১০টা পর্যন্ত ফুলছড়ি উপজেলার বিভিন্ন চরে অভিযান চালায় তারা।

বুধবারের ওই অভিযানে এক নৌ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করার কথা জানায় পুলিশ।

জঙ্গি আস্তানার সন্ধান, বিভিন্ন মামলার আসামি ও নৌ ডাকাত গ্রেপ্তারে গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) মইনুল হকের নেতৃত্বে জেলা পুলিশ, ডিবি পুলিশ, ফুলছড়ি থানা পুলিশ ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের ৫০ জন সদস্য এ অভিযানে অংশ নেয় বলে পুলিশ জানায়।

সাত ঘণ্টার এ অভিযানে ফুলছড়ি উপজেলার এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের ধলিপাটাধোয়া, পশ্চিম জিগাবাড়ী, জিগাবাড়ী, আলগার চর, ডাকাতিয়ার চর, ভাটিয়া পাড়া, চর হরিচণ্ডি, হরিচণ্ডি, দক্ষিণ হরিচণ্ডি, দক্ষিণ সন্ন্যাসীর চর, উত্তর পাগলার চর, বুলবুলির চরসহ উপজেলার বিভিন্ন চরে তল্লাশি চালানো হয় বলে জানান তিনি।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবদুল্লাহ্ আল ফারুক বলেন, চরাঞ্চলে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীরা আত্মগোপন করে থাকতে পারে সন্দেহে অভিযান চালানো হচ্ছে। এছাড়া নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধির সময় চরাঞ্চলে নৌ-ডাকাতি বৃদ্ধি পায়। এসব অপরাধ রোধে আগাম ব্যবস্থা হিসেবে জেলা পুলিশের সিদ্ধান্তে এই অভিযান চালানো হয়।

পুলিশের রুটিন কাজের আওতায় পর্যায়ক্রমে জেলার সব চরাঞ্চলে এই বিশেষ অভিযান চালানো হবে বলে জানান তিনি।

গত বছর ১ জুলাই গুলশানের ক্যাফেতে জঙ্গি হামলায় ১৭ বিদেশিসহ ২২ জন নিহত হওয়ার পর জঙ্গি আস্তানার খোঁজে গাইবান্ধা সদরসহ তিন উপজেলার চরাঞ্চলে অভিযান চালিয়েছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।