এ দাবিতে বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড় থেকে কাচারি বাজার পর্যন্ত দুই কিলোমিটার দীর্ঘ মানববন্ধন করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে এ মানববন্ধনে হামলার শিকার সিটি মেয়রও বক্তব্য রাখেন।
রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশে মেয়র সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু তার উপর হামলার ঘটনাকে পরিকল্পিত উল্লেখ করে বলেন, হামলার তিনদিন পেরিয়ে গেলেও মূল পরিকল্পনাকারীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে।
“প্রশাসনকে বলতে চাই আমার উপর হামলার পরিকল্পনাকারীদেরকে অতি শিগগির আইনের আওত্তায় আনা না হলে রংপুরের রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজসহ সকল অফিস-আদালত বন্ধ করে দেওয়া হবে।”
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে কাউন্সিলর ইদ্রিস আলী, তৌহিদুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম তোতা, মহানগর দোকান মালিক সমিতির আহ্বায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন মিঠু, সদস্য সচিব জাভেদ হোসেন জুয়েল, জেলা স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এনামুল হক সোহেল, ব্যটারি চালিত অটোরিকশা মালিক-শ্রমিক সমবায় সমিতির সভাপতি মহি আহমেদ মহি, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার কবির সুমন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
গত রোববার সন্ধ্যার আগে বাড়ির পাশে একটি আসবাবপত্রের দোকানে বসে গল্প করার সময় এক ব্যক্তি মেয়রকে মারধর করেন। এ সময় স্থানীয়রা হামলাকারী সাদ্দাম হোসেনকে (২৭) আটক করে পুলিশে দেয়।
সোমবার সাদ্দামকে পাঁচ দিনের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।