শহরের বুধপাড়ার মাজদার আলীর বাড়ির এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে; খবর পেয়ে লোকজন ভিড় করছে সাপ দেখার জন্য।
মাজদার আলী সাংবাদিকদের বলেন, মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে তিনি বিছানায় বসে টিভি দেখছিলেন। এ সময় ঘরের মেঝেতে একটি সাপ দেখতে পান।
“লাঠি নিয়ে মারতে গেলে সে আলমারির আড়ালে গিয়ে লুকায়। ভারি মুশকিল। আমি আলমারি সরালাম। তখন দেখি আরও তিনটি সাপ বসে আছে।”
এরপর শুরু হয় ডাকাডাকি। কিন্তু ভাইয়েরা এসে তিনটি সাপ মারার পর তারা আরও সাপ দেখতে পান বলে জানান মাজদার আলী।
তিনি বলেন, “ততক্ষণে এলাবাসীও এসে পড়েছে। একে একে তারা মাটির ঘরের গর্ত ও দেয়াল খুঁড়ে মোট ২৭টি গোখরা দেখতে পান। সব মেরে ফেলা হয়।”
মাটির এই বাড়িটি অনেক পুরনো জানিয়ে মাজদার বলেন, ২৭টি সাপ মারার পর থেকে বাড়ির সবাই আতঙ্কে রয়েছে। আরও সাপ আছে বলে তার ধারণা।
“সাপের দখলে চলে গেছে পৈত্রিক বাড়িটি। বাড়ির সবাই আতঙ্কিত। বউ-বাচ্চা এখন আর এ বাড়িতে থাকতে চাচ্ছে না। ভয়ে ওই ঘরে আর কেউ ঢুকছে না। যে সাপগুলো মারা পড়েছে তাদের সবার দৈর্ঘ্য আড়াই ফুট। এই বাচ্চা সাপগুলোর মা-বাপ এখনও এ বাড়িতেই লুকিয়ে রয়েছে বলে মনে হয়।”
তিনি অভিজ্ঞ সাপুড়িয়ার খোঁজ করছেন বলে জানান।
এলাকার সাইদুর রহমান জানান, রাত ১১টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত ঘরের সব গর্ত শাবল দিয়ে খুঁড়ে খুঁড়ে সাপগুলো মারা হয়।