এছাড়া ত্রাণ নিয়ে কোনো দুর্নীতি সহ্য করা হবে না বলেও তিনি হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন।
মন্ত্রী মঙ্গলবার সকালে মৌলভীবাজারে, দুপুরে সিলেটে ত্রাণ বিতরণ করেন। বিকালে তিনি সিলেটে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির বিশেষ সভায়ও যোগ দেন।
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণকালে মন্ত্রী বলেন, “যতদিন বন্যা ও জলাবদ্ধতা থাকবে ততদিন দুর্গত মানুষদেরকে ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া অব্যাহত থাকবে, একটি মানুষও না খেয়ে মরবে না। শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি।”
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কুলাউড়া উপজেলার ভুকশিমইল ইউনিয়নের সাদিপুরের ঘাগটিয়া বাজারে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন তিনি।
প্রায় দুইশত পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন মন্ত্রী।
এ সময় মৌলভীবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল মতিন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ আলম, মহাপরিচালক রিয়াজ আহমদ, কুলাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান আসম কামরুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান, মৌলভীবাজার পৌর মেয়র ফজলুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক নেছার আহমদ প্রমুখ।
মন্ত্রী বলেন, “একটা ওয়ার্নিং কিন্তু হয়ে গেছে, হাওরে নানা অবহেলা ও নানা ত্রুটির জন্য ৬১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আমার ত্রুটি হলে আমাকেও ধরবে। আমিও কিন্তু বাইরে না। আসুন, আমরা সবাই ভালো হয়ে যাই।”
সিলেটের বন্যার্তদের জন্য ৫০০ মেট্রেক টন চাল, ১০ লাখ টাকা এবং দুই হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বন্যার পানি না নামা পর্যন্ত বন্যাদুর্গত মানুষদের সব ধরনের সহায়তা করবে সরকার।
প্রশাসনের জেলা পর্যায়ে কর্মকর্তাদের বসে না থেকে নড়াচড়া করতে, দুর্গত এলাকায় যেতে বলেন।
সিলেট জেলা প্রশাসক রাহাত আনোয়ারের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, মহানগর সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, জেলা সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।
এর আগে দুপুরে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের মাইজগাঁওয়ে বন্যাদুর্গত মানুষদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন মন্ত্রী।
ওই সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন,“যারা আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন, তারা নিজ ঘরে ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত সহায়তা দেওয়া হবে। এছাড়া যাদের ঘর নাই বা গৃহহীন হয়ে পড়েছেন, তাদের ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হবে।”