দিনাজপুর জজ আদালতের আইনজীবী হযরত আলী বেলাল বাদী হয়ে সোমবার রাতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের (আইসিটি) ৫৭ ধারায় মামলাটি করেন বলে কোতোয়ালি থানার ওসি রেদওয়ানুর রহিম জানান।
মামলার আসামিরা হলেন- যমুনা টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক নাজমুল হোসেন, অথৈ আদিত্য, তারিখ রহমান ও নুশরাত জাহান ইশিতা।
মামলার বিবরণে বলা হয়, গত ২৩ জুন এক আসামি ‘বিচারপতির লাল সিঁড়ি ও দেলোয়ারের ক্র্যাচ” শিরোনামে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। অপর তিন আসামি ওই স্ট্যাটাসে লাইক দিয়ে মন্তব্য করেন।
অসৎ উদ্দেশ্যে বিচারপতি, বিচার ও বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ও মর্যাদাকে হেয় প্রতিপন্ন করার প্রচেষ্টায় প্রদান আসামি মানহানিকর ও অশালীন পোস্টটি দিয়েছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
ওসি রেদওয়ানুর জানান, আসামিদের পরিচয় ও ঠিকানা মামলায় অজ্ঞাত উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার বিধি অনুযায়ী পারবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারাটি কালাকানুন বলে তা বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছে গণমাধ্যমকর্মীসহ বিভিন্ন মহল। বাংলাদেশের এই আইনের সমালোচনা চলছে বিদেশেও।
৫৭ ধারায় বলা হয়েছে- ওয়েবসাইটে প্রকাশিত কোনো ব্যক্তির তথ্য যদি নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হতে উদ্বুদ্ধ করে, এতে যদি কারও মানহানি ঘটে, রাষ্ট্র বা ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়, তা হবে অপরাধ। এর শাস্তি অনধিক ১৪ বছর কারাদণ্ড এবং অনধিক এক কোটি টাকা জরিমানা।
৫৭ ধারা কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়, হাই কোর্টের এমন রুলও আসে। সমালোচনার মুখে আইনের ধারাটি বাতিলের আশ্বাস দিয়ে আসছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ সরকারের কর্তাব্যক্তিরা।